বাইরের উন্মাদনায় নজর দিচ্ছেন না মুমিনুলরা

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৯

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

প্রথমবারের মতো দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আগামীকাল (শুক্রবার) খেলা শুরু হবে দুপুর দেড়টায়। ম্যাচটিকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। ভক্তদের মধ্যেও চরম উন্মাদনা। তবে, এসব উন্মাদনার দিকে নজর নেই টাইগার দলপতি মুমিনুল হকের। তিনি বলেছেন, মাঠের বাইরে কি ঘটছে সে দিকে না তাকিয়ে নিজেদের খেলার বিষয়েই মনোযোগী হতে চান তিনি।

গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির প্রথম এই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে যা কিছু করণীয় তার সব কিছুই করছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই এর সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী। এটি কলকাতার দর্শকের মধ্যে এতটাই আবেগ সৃষ্টি করেছে যে, ম্যাচের প্রথম তিনদিনের সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে। গোটা শহর জুড়েই বিরাজ করছে স্মরণীয় এই ম্যাচের বাড়তি উল্লাস ও উত্তেজনা। ইতোমধ্যে কলকাতা শহরটি ‘সিটি অব জয়’-এ পরিণত হয়েছে।

শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ঐতিহাসিক এই টেস্ট। টসের ঠিক আগ মুহূর্তে দুই দলের অধিনায়কের জন্য গোলাপি বল নিয়ে ইডেন গার্ডেনে অবতরণ করবে ভারতীয় আর্মির প্যারাট্রুপাররা। এরপর ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

২০০০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের বিশেষ সম্মাননা দিবে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (ক্যাব)। বাংলাদেশ দলের অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর। আগামীকাল মাঠে উপস্থিত থাকবেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেঙ্গুলকারের মত ক্রিকেট তারকারা।

ম্যাচটির উন্মাদনা ছুঁয়ে গেছে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও। কলকাতা নগরী পরিণত হয়েছে ‘উৎসবের নগরীতে’। বিভিন্ন স্থান ভরে গেছে গোলাপি রঙের আভায়। গোলাপি রঙে থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে ২২তলা বিশিষ্ট টাটা ভবন ও ৪২ তলা বিশিষ্ট শহরের সুউচ্চ ভবনও।

মুমিনুল হক বলেছেন, ‘আমি মনে করি না এসব উচ্ছ্বাস আমাদের আক্রান্ত করবে। কারণ পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি এসব বিষয়ে দিকে মনোযোগী হতে পারেন না। আপনাকে নিজের কাজেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আমার কথা হচ্ছে মাঠের বাইরের পরিবেশকে আনন্দদায়ক করার জন্য যা কিছু করার তা করবে আয়োজকরাই। আর আমার মনোযোগ দিতে হবে নিজের ক্রিকেটের প্রতি। সুতরাং, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করি না বাহ্যিক বিষয়গুলো আমাদের ক্রিকেট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারবে।’

মুমিনুল বলেন, ‘তারা প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছে। সেটি নিয়ে কিছুটা রোমাঞ্চ থাকবে। তবে সেটি দিয়ে খেলাটিকে বাঁধাগ্রস্থ করা যাবে না। দিন শেষে আপনাকে ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। সেখানে বল বা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, গোলাপি বলের সঙ্গে আমরা কীভাবে খাপ খাওয়াব, সেটি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা কাজ করতেই পারে।’

(ঢাকাটাইমস/২১ নভেম্বর/এসইউএল)