যুবলীগের নামে চাঁদাবাজি, সাবেক ইউপি সদস্যকে গণধোলাই

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:১১ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুবলীগের সম্মেলনের নামে মোটা অংকের চাঁদা চাইতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন ঢাকার খিলগাঁওয়ের দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান সোহাগ।

শুক্রবার নবীনবাগ বালুর মাঠ এলাকার একজন জমি মালিকের কাছে চাঁদা আনতে গেলে স্থানীয়রা আটক করে তাকে গণধোলাই দেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাবেক ইউপি সদস্য সোহাগ নিজেকে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় আধিপত্য চালিয়ে আসছে। ইউপি সদস্য থাকা অবস্থায় বহু মানুষের জমি দখল করেছেন। এরপর যুবলীগের খাতায় নাম লিখিয়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও জমি দখলই তার মুল পেশা হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে এলাকার মানুষের কাছে ভূমি দস্যু হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন।

তাদের অভিযোগ, সোহাগ সম্প্রতি নবীনগর বালুর মাঠ এলাকার এক খণ্ড জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করেন। ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে লোকজন নিয়ে বাধা দেন।

এ অভিযোগে ৩ নভেম্বর খিলগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন জমি মালিকের ছেলে খালেদুর রহমান শাকিল।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাবার কেনা জমিটি রক্ষনাবেক্ষনে গেলে হাবিবুর রহমান সোহাগ যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে প্রথমে জমিটি তার কাছে কম মূল্যে বিক্রির প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং নানা ভাবে তাদের কাজে বাধা দেন।

শুক্রবার সকালে ওই জমিতে শ্রমিকরা কাজ করতে গেলে সোহাগ ও তার লোকজন কাজ বন্ধ করতে বলেন। এসময় তিনি যুবলীগের সম্মেলনের নামে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। নইলে জমিতে কোনও কাজ করতে দেয়া হবে না।

স্থানীয়রা চাঁদা দাবির প্রতিবাদ জানালে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সোহাগের লোকজন কয়েকজনকে মারধর করলে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সোহাগসহ তার সাঙ্গদের গণধোলাই দেয়। এলাকাবাসীর তোপের মুখে সহযোগিরা পালিয়ে গেলেও সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

খিলগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এসএস