ভুল ফারজানার না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ২১:৩৩ | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:১৩

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নবম দশম শ্রেণিতে দুই বছর লেখাপড়া শেষে নির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভুলের কারণে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছেন না ফারজানা। এ ভুলে ফারজানার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে দুই বছর। ভুল ফারজানার না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ প্রশ্ন এখন তার পরিবার ও সচেতন এলাকাবাসীর।

ফারজানা গেড়ামারা-গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে উপজেলার চান্দুলিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদের কাছেও।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফারজানা ২০১৭ সালে গেড়ামারা গোহাইলবাড়ি সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণির মানবিক শাখায় ভর্তি হয় সে। নবম শ্রেণিতে নিবন্ধন শেষে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দশম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। দশম শ্রেণিতে তার ক্লাস ক্রমিক নম্বর ৩০। গত ১৫ অক্টোবর থেকে এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হলে তাকে ১৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বাক্ষরিত প্রবেশপত্র দেয়া হয়। নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফারজানা সকল বিষয়ে উত্তীর্ণও হয়। এসএসসির ফরম পূরণ শুরু হলে ফাজানার কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ চার হাজার ২৫০ টাকা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

কিন্ত দুই বছর পর গত মঙ্গলবার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ফারজানা জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে। সে কারণে সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না এবং ফরম পূরণের টাকা ফেরত দেয়।

এ ঘটনা জানতে পেরে ফারজানা ও তার পরিবারের সদস্যরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

ফারজানার প্রশ্ন সে যদি জেএসসি পরীক্ষায় ফেল করে থাকে, তাহলে কীভাবে তাকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলো। কেন তাকে এসএসসির নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হলো এবং ফরম পুরনের টাকা নেয়া হলো।

ফারজানার বাবা ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, নবম দশম শ্রেণিতে দুই বছর লেখাপড়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন বলছে, আমার মেয়ে জেএসসি পরীক্ষাই উত্তীর্ণ হয়নি।

তিনি বলেন, এখন মেয়ের জীবন থেকে দুইটি বছর হারিয়ে গেল। এই ভুলের খেসারত কে দেবে? এ প্রশ্ন তার পিতার।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফারজানা নামে দশম শ্রেণিতে কামারপাড়া গ্রামের এক ছাত্রী রয়েছে। সে ওই ফারজানার রুল নম্বর দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এলএ)