সাতছড়িতে রকেট লাঞ্চারের ১৩ গোলা উদ্ধার

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:০৮ | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৯:১৮

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ফের অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন। টানা দুই দিনের অভিযানে ১৩টি লাঞ্চারের গোলা ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার দুপুরে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরে র‌্যাব-৭ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর-২৪ পদাতিক ডিভিশনের একটি দল সাতছড়িতে অবস্থান নেয়। তারা সকাল থেকেই জাতীয় উদ্যানের ভেতর গহিন বনে অভিযান শুরু করে। দিনব্যাপী এ অভিযান চলে। রাতে অভিযান বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করা হয়।
র‌্যাব জানায়, দু’দিনব্যাপী অভিযানে গহিন বনের ভেতর থেকে ১৩টি আরপিজি সেল (রকেট লাঞ্চারের গোলা) উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে অভিযান সমাপ্ত করা হয়।

চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে র‌্যাবের এসআই সোহেল জিডি করেছেন। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দ্রব্যাদি ধ্বংস করতে র‌্যাব আদালতে আবেদন করেছে বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে আমিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছুটে যাই। তাদের সাথে কথাও বলেছি। আমরা বনের বাইরে ছিলাম। তারা জানিয়েছেন সাতছড়ির বনের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে এ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের টিমে ৩০ জন সদস্য ছিলেন।

এর আগে ২০১৪ সালে সাতছড়িতে ৫ দফা অভিযানে ছয় বার অস্ত্র ও গোলাবারুদ পায় র‌্যাব। ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটো রাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র‌্যাব।

১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহীনের অরণ্যে মাটি খুঁড়ে চতুর্থ দফায় তিনটি মেশিন গান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। ওই বছরের ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি-নট-ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট নয় হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়। এছাড়া এসএমজি’র ২০টি, এলএমজি’র পাঁচটি, এসএলআর-এর ছয়টি, ত্রি নট ত্রি’র চারটি, এমএমজি দুটি, পিস্তলের ২৯টি ও জি থ্রি’র ১২টিসহ মোট ৮০টি ম্যাগজিন, পাঁচটি ওয়াকিটকি ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও সেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে আবার সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করে র‌্যাব। এ সময় বেশ কয়েকটি বাংকারেরও সন্ধান পায় র‌্যাব।

ঢাকাটাইমস/২৩নভেম্বর/ইএস