অস্ত্র, বিস্ফোরক ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার
বগুড়ায় জেএমবির বিভাগীয় প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৪
বগুড়ায় জেএমবির রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি, বিস্ফোরক ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাত ১টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুড়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখা ও বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় বগুড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঁঞা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পুরাতন জেএমবির রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দাওয়াতি বিভাগের প্রধান আতাউর রহমান ওরফে হারুন ওরফে আরাফাত (৩৪), রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বায়তুল মাল-প্রধান ও নওগাঁ জেলার দায়িত্বশীল মিজানুর রহমান ওরফে নাহিদ ওরফে মোরছাল (৪২), গাইবান্ধা জেলার দায়িত্বশীল জহুরুল ইসলাম ওরফে সিদ্দিক (২৭) ও বগুড়া জেলার দায়িত্বশীল মো. মিজানুর রহমান (২৪)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাকুড়তলা বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে জেএমবির গোপন বৈঠকের সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। আরও দু-তিনজন পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি চাপাতি, ১টি চাকু, ১ কেজি বিস্ফোরক, ৮টি গ্রেনেড বডি ও গ্রেনেড তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দাওয়াতি বিভাগের প্রধান আতাউর রহমানের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া থানার বেটুবাড়ি গ্রামে। তিনি ২০১৩ সালে জেএমবিতে যোগদান করে রংপুর বিভাগে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে রংপুরের কাউনিয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বায়তুল মাল-প্রধান মিজানুর রহমানের বাড়ি নওগাঁর পোরশা থানার কাশিতারা গ্রামে। তিনি ২০০৪ সালে জেএমবিতে যোগদান করে নওগাঁ জেলায় দাওয়াতি কার্যক্রম শুরু করেন। রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে আত্মগোপন করে নওগাঁ জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি।
আটক মো. জহুরুল ইসলাম সিদ্দিকের বাড়ি গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুর সোনারপাড়া গ্রামে। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় সুয়েটার কোম্পানিতে চাকরি করার সময় জেএমবিতে যোগ দেন। তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছদ্মবেশে ডিম, পেপার ও পাঁপর বিক্রি করে দাওয়াতি কার্যক্রম চালাতেন।
আর বগুড়া জেলার দায়িত্বশীল মিজানুর রহমান ২০১৬ সালে পুরাতন জেএমবিতে যোগদান করে এবং বগুড়া জেলায় দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। তার বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার হাটশেরপুর বাধ গ্রামে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটো মামলা করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/মোআ)