আ.লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে চেয়ারে বসা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খাঁন ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় প্রায় ৫০ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আহত হন।

সোমবার দুপুর ২টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সাত বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হয়।

আহতদের মধ্যে রবিন খান, জয়নাল মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল, আকাশ, আছিব, উজ্জ্বল, সাগর, নয়ন, লিটন, জিহাদ, দুলাল, মতিন শেখ, হজরত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

দুপুর ২টার দিকে জেলা সভাপতির সর্মথক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামের সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে সভাস্থল দখলের চেষ্টা করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এর আগে সকাল ১০টার দিক থেকেই সভাস্থলের সকল চেয়ার দখলে রাখেন সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খাঁন ও সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থকদের মধ্যে দলীয় কোন্দল রয়েছে। দুপুরে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সভাস্থলে আসতে শুরু করে। বেলা ১০টার দিকে চেয়ারে বসা নিয়ে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে সভাস্থল ত্যাগ করে সদর উদ্দিন খাঁনের সমর্থকরা।

এরপর দুপুর ২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলামের সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে সভাস্থল দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বেরিকেট উপেক্ষা করে সভাস্থল দখল নিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান, গুরুত্বপূর্ণ আট পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সম্মেলনস্থলে চারদিকে সাদা পোশাকের পুলিশ রাখা হয়েছে।

পরে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে পুরাতন কমিটির সভাপতি বাবুল আখতারকে সভাপতি ও তারিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/এলএ)