সন্তানের স্বীকৃতি পেতে কুমিল্লায় ডেনমার্কের নারী

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ২৩:৩১

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

স্ত্রীর অধিকার ও সন্তানের স্বীকৃতি পেতে ডেনমার্ক থেকে কুমিল্লায় এসেছেন এক নারী। ডেনমার্ক থেকে আসা ওই নারী নাদিয়া। তার সঙ্গে রয়েছে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান। ডেনমার্কের ওই নারী গত তিন দিন আগে বাংলাদেশে এসে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামে যান। ওই গ্রামের মফিজ মেম্বারের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন তিনি। সেখানে নাদিয়ার দাবি করেন, মফিজ মেম্বারের ছেলে সাইফ তার স্বামী। এ সময় প্রতারক আখ্যা দিয়ে সাইফের বাড়ির লোকজন ওই ডেনমার্ক নারীকে লাঞ্ছিত করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার রাতে ডেনমার্ক নারী নাদিয়া জানান, প্রায় ১০ বছর আগে নাঙ্গলকোট উপজেলার আশারকোটা গ্রামের মফিজ মেম্বারের ছেলে সাইফ তাকে বিয়ে করে। এরই মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেয় একটি কন্যা সন্তান। দীর্ঘ ১০ বছর বিবাহের জীবনে নাদিয়ার পরিবার থেকে এবং তার চাকরির বেতনের টাকা প্রায় ৫০ কোটি (বাংলাদেশি টাকায়) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইফ। এছাড়া সম্প্রতি সাইফ ডেনমার্ক থেকে বাংলাদেশে আসবে বলে নাদিয়ার কাছ থেকে প্রায় ৫০ হাজার ইউরো হাতিয়ে নিয়েছে। গত তিন মাস আগে বাংলাদেশে আসে সাইফ। দেশে এসেই নাদিয়ার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে দেশে এসে সাইফ কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার অনার্স পড়ুয়া এক মেয়েকে ডেনমার্ক নয়ে যাবে বলে কৌশলে বিয়ে করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই অবস্থা দেখে গত সোমবার রাতে ওই নারীকে গ্রামের বাড়ি থেকে কৌশলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার হোটেল নুরজাহানে নিয়ে আসে সাইফের লোকজন। পরে সেখান থেকে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় হোটেল রেডরোফ ইনে নেয়া হয়।

ওই হোটেলে অবস্থানকালে নাদিয়া জানান, সাইফ মঙ্গলবার সকালে ডেনমার্ক চলে গেছে। সে ফোন করে বলে আমাকেও চলে যেতে। তাই আমি আর বাংলাদেশে থেকে লাভ কি। আমিও আজকে চলে যাচ্ছি।

এদিকে নাদিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান ও নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় এই পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে ওই নারী নিয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছেন।

এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাইফ এবং তার বাবা মফিজ মেম্বারের যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার ফ্লাইটে নাদিয়া ডেনমার্ক চলে গেছেন। তাকে আমরা বিমান বন্দর পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটি তদন্ত করে দেখছি।

(ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/এলএ)