বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্পের কাজ বণ্টন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একশ্রেণির ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই টাকা তুলে নেওয়া, আগের কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে আবার বিভিন্ন ধরনের নৌ-যান তৈরি ও সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়ে তার অপব্যবহার করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, কেউ কেউ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মাধ্যমে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করে কাজ ঝুলিয়ে রেখে বিল তুলে নিচ্ছেন। এতে এই রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বিপুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্প্রতি নদী রক্ষায় ড্রেজারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় বিআইডব্লিউটিএ। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে শত শত কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধার হয়েছে। নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মপরিকল্পনা। এগুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে।

অভিযোগ আছে, আগের কাজ ঝুলিয়ে রেখে নতুন কাজ পাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছেন অনেক ঠিকাদার। সংস্থাটির বেশকিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে এমন কর্মকাণ্ড চলছে বলেও প্রচার আছে। বলা হচ্ছে, এসব ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গেও ঠিকাদারদের একাংশের অর্থিক লেনদেনের সম্পর্ক রয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কাজ বুঝিয়ে না দেওয়ায় নদ-নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনার ড্রেজিং কাজে জট সৃষ্টির হচ্ছে। কিছু ড্রেজিং প্রতিষ্ঠানের হাতে একাধিক কাজ থাকার পরেও তারা নতুন কাজের জন্য ওপর মহল থেকে নানামুখী চাপ দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে বেশকিছু ড্রেজার প্রতিষ্ঠান কাজের অভাবে বসে রয়েছে। ফলে বিলম্বিত হচ্ছে সংস্থাটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুল-উল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিআইডব্লিউটএর প্রকল্পগুলোর জন্য যথাযথ নিয়ম নেমে ওপেন টেন্ডার হয়। এর মাধ্যমে ঠিকাদাররা কাজ পান। আর ঠিকাদারদের কাজ পাওয়ার জন্য তাদের যোগ্যতার একটি মান থাকে। সেটিও আমরা নিশ্চিত করে থাকি।’

(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/কারই/মোআ)