ক্ষমা চেয়ে সেই কিশোরীর অ্যাকাউন্ট খুলে দিল টিকটক

প্রকাশ | ২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১০:১৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের তরুণী ফিরোজা আজিজের কাছে ক্ষমা চেয়েছে চীনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। উইঘুর মুসলিমদের নিয়ে সচেতনতামূলক ভিডিও পোস্ট করায় তার ভিডিওটি মুছে দেওয়ার পাশাপাশি তার অ্যাকাউন্টও বন্ধ করে দিয়েছিল টিকটক। পরে ওই ঘটনায় ফিরোজার কাছে ক্ষমা চেয়ে তার অ্যাকাউন্টটি ফের চালু করে দিয়েছে টিকটক।

উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণের সমালোচনা করে একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও চীনা সোশ্যাল মিডিয়া টিকটকে পোস্ট করেছিলেন মার্কিন কিশোরী ফিরোজা আজিজ। পরে ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওটি পোস্ট করার পর ওই কিশোরীকে ব্লক করে দেয় টিকটক কর্তৃপক্ষ। এরপর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নানা সমালোচনা। সমালোচনার মুখে মার্কিন ওই কিশোরীর কাছে ক্ষমা চায় টিকটক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তার অ্যাকাউন্টটিও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ফিরোজা আজিজ নামে ১৭ বছর বয়সী ওই তরুণী ভিডিওটি প্রায় এক ঘণ্টার জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই সারা বিশ্বে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই ভিডিওটি দেখা হয়ে গিয়েছিল ৯০ লাখের বেশি বার।

পোস্ট করা ভিডিওটিতে দেখা যায় যে মিস আজিজ মেকাপ কীভাবে করতে হবে তার বর্ণনা দিতে দিতে এক ফাঁকে চীনে উইঘুর মুসলিমদের যেভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে তারও নিন্দা করছেন। লোকজনকে বলছেন, সেখানে কী হচ্ছে সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে। একে তিনি ‘আরো একটি হলোকাস্ট’ বলেও উল্লেখ করে। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তারা শিনজিয়াং প্রদেশে ১০ লাখের মতো মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে তাদের মগজ ধোলাই করছে।

সঙ্গে সঙ্গেই এই ভিডিওটি টিকটক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, কারণ এই সোশ্যাল মিডিয়ার মালিক বেইজিংভিত্তিক একটি কোম্পানি বাইটড্যান্স। টিকটক এখন বলছে যে, তাদের ‘মানবিক ত্রুটির’ কারণে এরকম হয়েছে। ভিডিওটিতে এমন কিছু নেই যা তাদের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে।

তারা আরও বলেছে যে, চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে তাদের কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে তারা ‘চীনা নিয়ন্ত্রণ নীতি’ অনুসরণ করে না।

টিকটকের বক্তব্য: চীনের বিষয়ে মন্তব্য করার কারণে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। বরং এর আগে তিনি অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যাতে ওসামা বিন লাদেনের ছবি ছিল, এবং সে কারণেই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের নিরাপত্তাজনিত প্রধান এরিক হ্যান বলেছেন, ওসামা বিন লাদেনের একটি ভিডিও পোস্ট করার কারণে এ মাসেই মিস আজিজকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কিন্তু মিস আজিজ টিকটকের এই ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারেনি। টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘এই কথা কি আমি বিশ্বাস করব?’ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ফিরোজা আজিজ বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমি টুইটারে, ইন্সটাগ্রামে, যেসব সোশ্যাল মিডিয়াতে আমার অ্যাকাউন্ট আছে সেগুলোতেও কথা বলব, এমনকি টিকটকেও। ‘টিকটকের ভয়ে আমি ভীত নই।’

ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এমআর