‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ছাত্রলীগ কর্মী নিহত

প্রকাশ | ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
বন্দুকযুদ্ধে নিহত দীপ (বায়ে) এবং সাইফুল ইসলাম

সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন, যারা ছিতনাইকারী ছিল বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন শরিফুল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরের মঈনুল ইসলামের ছেলে মাহামুদুর রহমান দীপ (২৪) এবং কালিগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুস সবুর সরদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০)। দুজনই ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।

জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান জানান, গত ৩১ অক্টোবর বিকালে কালিগঞ্জের কাটাখালি নামকস্থানে বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দীপ ও সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের নিয়ে শুক্রবার গভীর রাতে শহরের কাছে কামালনগরের বাইপাস সড়কের ধারে অন্য সহযোগীদের আটক করতে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে দীপ ও সাইফুল গুলিবিদ্ধ হন। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহত দুইজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশি পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি চাকু উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ছাত্রলীগের দুই কর্মী নিহতের ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক। ফেসবুক স্ট্যাটাস তিনি লিখেছেন ‘ভাই তোদেরকে এইভাবে হারায়ে ফেলব তা বুঝতে পারিনি। পারলে মাফ করে দিস। দোয়া করি আল্লাহ তোদের বেহেশতবাসী করুন।’

নিহত সাইফুল ইসলামের মা ফতেমা খাতুন জানান, তার ছেলে কয়েক বছর ধরে সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুরে থাকতো। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকের হয়ে বিভিন্ন কাজ করতো সাইফুল ও দীপ। খোড়া বাক্কারের ভাগ্নি চৈতিকে বিয়ে করে সে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সাইফুলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে দীপের বাবা মইনুল ইসলাম জানান, তার ছেলে দীপকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে সন্ধান করতে গেলেও কেউ তাকে আটকের সত্যতা স্বীকার করেনি। শনিবার ভোরে দীপ বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে বলে খবর পান তিনি।

ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর