গল্পনির্ভর ছবিতে কাজ করতে চাই
চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনের বড়পর্দায় হাতেখড়ি হয়েছিল ‘দারুচিনি দ্বীপে’। হুমায়ূন আহমেদের দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন তৌকির আহমেদ। এরপর একে একে তিনি তিন ডজন ছবিতে অভিনয় করেছেন। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। এরপর নাটক করেছেন একের পর এক। এখন থিতু হয়েছেন বড়পর্দায়। ইমনের এই সময়ের ব্যস্ততা এবং চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়েছেন ঢাকাটাইমসকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আসাদুজ্জামান।
মডেলিং থেকে আপনি নাটকে এসেছিলেন। তারপর সিনেমায়। এরপর কী?
এখন পর্যন্ত কয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এক্সাক্টলি সংখ্যাটা বলতে পারছি না। তবে নিয়ার অ্যাবাউট ৩৫-৩৬টি তো হবেই।এখন কয়টি ছবি হাতে আছে? এখন চার থেকে পাঁচটি ছবি আমার হাতে আছে।
ইত্যাদিতে আপনাকে নিয়মিত দেখা যায়। ইত্যাদিতে আমি একটা ছোট্ট রোল হলেও করি। কারণ হানিফ সংকেত দাদার সঙ্গে আমার গুড কানেকশন। সংকেত দাদা আমাকে পছন্দ করেন, আর আমিও তাকে শ্রদ্ধা করি। এমনও হয়েছে আমার সিডিউল না থাকার কারণে দুই-তিনদিন পিছিয়ে কাজ করেছে আমাকে নিয়ে। অর্থাৎ সংকেত দাদার সঙ্গে ভেরি গুড কানেকশনের কারণেই ইত্যাদিতে কাজ করা হয়।
মডেলিংয়ের পর আপনি নাটক দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। কিন্তু নাটকে আপনাকে এখন আর দেখা যায় না। নাটক তো বেসিক্যালি আমি করিই না। শুধু ঈদের সময় দুয়েকটা করা হয়। তাই সব সময় দেখা যায় না।
মডেলিংয়ের কী খবর? মডেলিং তো আমি সবসময়ই করি। কিছুদিন আগেও তিব্বতের একটা বিজ্ঞাপন করে আসলাম। সামনে আরো বেশকিছু বিজ্ঞাপনের কথা-বার্তা চলছে।
শুনেছি আপনি মেডিটেশন করেন। আমি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে মেডিটেশনে গ্রাজুয়েট। শুরুতে নিয়মিত মেডিটেশন করা হতো। এখন একটু কম করা হয়। যখন সময় খারাপ যায় বা মনে হয় ভালো লাগছে না তখনই মেডিটেশন করি। প্রত্যেক মানুষেরই মেডিটেশন করা উচিত। মেডিটেশন এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ছড়িয়ে গেছে। একজন ক্রিকেটার বা ফুটবলারও কিন্তু মেডিটেশন করে। এটা তো নিজের জন্য।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী ? প্রোপার টাইম দিয়ে মুভি করব। নতুন গেটআপ নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হব। এটা নিয়েই চিন্তা-ভাবনা করছি।
কোন ধরনের সিনেমাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন? আমি সব ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে পারঙ্গম। কিন্তু এখন আমি গল্পনির্ভর ছবিতে কাজ করতে চাই।
সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ঢাকাটাইমস এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।
(ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/এজেড)