দুই ভাইকে হত্যায় চারজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:০৩ | আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২৯

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় দুই ভাইকে হত্যা মামলায় চারজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন জেলার একটি আদালত। এছাড়া রায়ে সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম এবং আশরাফ মালিথা। এছাড়া আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উক্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা যোগসাজশে হামলা করে স্কুলশিক্ষক মুজিবর রহমানকে হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মরা যান মিজানুর। 
এই ঘটনায় নিহত মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন। ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে চার্জশিট জমা প্রদান করে।

কুষ্টিয়া জজকোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হত্যা মামলাটিতে চার আসামিকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- এবং পেনাল কোডের ৩০২/১১৪ ধারায় সাতজনকে যাবজ্জীবন ও পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ১ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।

ঢাকাটাইমস/১ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর