দিয়ার মায়ের কান্না!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৫৮ | প্রকাশিত : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৪৩
ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল রাজধানীর শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম এবং তার সহপাঠী আবদুল করিম রাজীবের বাসচাপায় মৃত্যুর ঘটনায়। আদরের ধন দিয়াকে হারানোর শোক এখনো কাটেনি তার পরিবারে। তাই তো শনিবার এই মামলার রায়ের দিনে দিয়ার ছবি বুকে নিয়ে বসেছিলেন তার মা রোকসানা বেগম।

আদরের মেয়েটি আর ফিরবে না জানলেও দায়িদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সেই প্রত্যাশায় দিয়ার ছবি বুকে ধরে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন রোকসানা। দিনভর অঝোঁরে কান্না করেছেন মেয়েকে স্মরণ করে। অবশেষে দুপুরে রায়ে জাবালে নূর বাসের দুই চালক ও এক সহকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের খবর শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন দিয়ার মা। রায়ে দুজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দুপুরে মহাখালীর দক্ষিণপাড়ায় দিয়াদের বাসায় গিয়ে দেখা যায়, বসার ঘরের সোফায় বসে মেয়ের ছবি আগলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন এই মা।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। আমার মেয়েকে তো আর আমি ফিরে পাব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার দিয়া বড় হয়ে আইনজীবী হতে চেয়েছিল। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হলো না। ’

এ সময় তিনি শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুলসংলগ্ন রাস্তায় যে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে তা দিয়া ও রাজীবের নামে নামকরণের দাবি জানান।

গত বছরের ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তার ওপর জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাস রেষারেষি করতে গিয়ে একটি বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের ওপর উঠে পড়ে। এতে রাজিব-দিয়া নিহত ও ৯ জন আহত হয়। নিহত রাজিব দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ওই মামলার রায় হয়েছে শনিবার।

রবিবার বিকালে এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইমরুল কায়েস।

দিয়ার বড় বোন রোকেয়া খানম রিয়া বলেন, 'সেদিন সকালে দিয়া নাশতা করে বাসা থেকে বের হয়নি। দিয়া কলেজে যাওয়ার পর আমিও কলেজে যাই। কলেজ শেষে বাসায় ফিরে দেখি কেউ নেই। পাশের বাসার আন্টিরা জানালেন, মীম অ্যাকসিডেন্ট করেছে। মীম না থাকার পর থেকে আমার মা সারা দিন কান্না করে। ছোট বাবুটা আমার কাছেই থাকে।'

দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর পর গত বছর নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলনে হামলা চালানো হয় শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন করে।

(ঢাকাটাইমস/০১ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :