অলির উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়েই সরে গেছি: সেলিম

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৫৬ | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বিএনপি ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ গঠন করেছেন বলে দাবি করেছেন তার নেতৃত্ব থেকে বের হয়ে যাওয়া নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম।

নতুন গঠিত এলডিপির সদস্য সচিব সেলিম বলেন, ‘অলি আহমদ দ্রুত ক্ষমতা দখল করতে চান। আমরা তার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়েই তার কাছ থেকে সরে এসেছি।’

সোমবার দুপুরে এলডিপির বর্ধিত সভায় সেলিম এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফকিরাপুলে একটি হোটেলে এই সভার আয়োজন করা হয়।

অলির এলডিপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব সেলিম বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের মালিক কোনো ব্যক্তি হতে পারেন না। কর্নেল অলি দাবি করেছেন এলডিপির মালিক তিনি। আমরা তার এ দাবিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ রাজনৈতিক দল হয় দলের নামেই। কোনো ব্যক্তির নামে নয়।’

‘কর্নেল অলি দাবি করেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) তার দল নাকি এক নম্বর নিবন্ধিত। কিন্তু তিনি বলেন না যে, ওই নিবন্ধনটি আমিই করেছি। এজন্য যে অর্থ ও ক্ষমতা ব্যবহার করতে হয়েছে তা আমিই করেছি। অলি আহমদ নন। বিএনপি থেকে বেরিয়ে অলি আহমদকে প্রধান করে এলডিপির নামকরণ পর্যন্ত সবকিছুই আমি করেছি। তিনি নন। আজ তিনি দলের মালিকানা দাবি করছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘আমাদের এলডিপি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটেই থাকবে। কারণ বিএনপিই আমাদের মূল নেতৃত্ব দেওয়া দল। কাউন্সিলে নেতাকর্মীরা যদি কর্নেল অলিকে আবারো দলের প্রধান করতে চান আমরা মেনে নেবো।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, ‘চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত ইসলামীকে মেনে নিয়েই আমরা জোট সম্প্রসারণ করেছিলাম। চারদলীয় জোটকেই আমরা ২০ দলে পরিণত করেছিলাম। সেখানে তো জামায়াত ছিল। কিন্তু অলি আহমদ ২০ দলের বাইরে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে জামায়াতের অর্থ ও জনবল নিয়ে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ গঠন করেছেন। আমরা তার এ বিশেষ উদ্দেশ্যের সঙ্গে নেই। কিন্তু জামায়াত ২০ দলে থাকলেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

কর্নেল অলিকে দল পরিচালনায় ‘একনায়কসুলভ মানসিকতা’সম্পন্ন নেতা দাবি করে সেলিম বলেন, ‘বিএনপি সরকারে থাকা অবস্থায় আজ থেকে ১২ বছর আগে আমরা কর্নেল অলি আহমেদকে নেতা মেনে তখনকার ৩৫ জন সংসদ সদস্য (এমপি) মিলে এলডিপি গঠন করেছিলাম। বিএনপি থেকে আমরা বের হয়েছিলাম দল ও সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠার আশায়। কিন্তু আমরা হতাশ হয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)