ধর্ষকদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত : জয়া বচ্চন

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৫১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতের তেলেঙ্গানায় ২৬ বছরের প্রিয়াংকা রেড্ডি নামক এক চিকিৎসকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় উত্তাল হয়ে পড়েছে সমগ্র দেশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত প্রত্যেকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন সবাই।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার দেশটির রাজ্যসভায় দেয়া এক বক্তৃতায় সমাজবাদী পার্টির এমপি জয়া বচ্চন বলেন, ‘‘এই ধরনের অপরাধীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত। আমি মনে করি, এখন লোকজন সরকারের কাছে যথাযথ ও নির্দিষ্ট উত্তর আশা করছে।’’ 

জয়া বচ্চন আরো বলেন, ‘এমন জঘন্য অপরাধের পরে এভাবে কতবার আমাকে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়েছে, তা আমার মনে নেই। নির্ভয়া, কাঠুয়া ও তেলেঙ্গনায় যা ঘটেছে, মানুষ সরকারের কাছে এর সঠিক জবাব দাবি করছে।’

তেলেঙ্গানা রাজ্যের পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় টোল প্লাজায় প্রিয়াংকাকে স্কুটি নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে ছককষে অভিযুক্ত যুবকরা। পরে প্রিয়াংকার অনুপস্থিতিতে স্কুটির টায়ার পাঙচার করে দেয় তারা। পরে প্রিয়াংকা ফিরে এলে স্কুটি ঠিক করে দেয়ার নাম করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় ট্রাকচালক আরিফ ও তার সহকারী শিবা।

এর এক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ধর্ষণ ও খুন করে ওই যুবকরা। জানা গেছে, পানীয়তে মদ মিশিয়ে জোর করে তাকে পান করানো হয়। পরে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। দেহ পোড়াতে তার স্কুটির জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে।

ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আটক করেছে পুলিশ। গত শনিবার তেলেঙ্গানার শাদনগরের ম্যাজিস্ট্রেট ওই চার যুবককে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। প্রিয়াংকাকে যেভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, অভিযুক্তদেরও একইভাবে আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেয়ার দাবি জানান তার মা। 

রাজ্যসভায় ধর্ষণের বিষয়ে সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে জয়া বচ্চন বলেন, সরকার কী করেছে? কীভাবে তারা এসব মোকাবেলা করছে? আক্রান্তরা কতটা ন্যায়বিচার পাচ্ছেন? আমি কারও নাম বলছি না, নিরাপত্তা বাহিনীর কি দায়িত্ব বহন করা উচিত না? তেলেঙ্গানায় যা ঘটেছে, তা কেন বন্ধ করা গেল না?

এআইএডিএমকে এমপি ভিজিলা সত্যনাথ নিজের বক্তব্য দেয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, তার দেশ নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ না।

তবে এমন একটি নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের মামলা দ্রুত বিচার আদালতে গেল না কেন, এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। শাদনগর বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের হয়ে কেউ মামলা লড়বেন না।

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/আরআর)