অভিজিৎ হত্যা মামলায় আরও তিনজনের সাক্ষ্য

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আরও তিনজন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তারা হলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার দুই দোকানদার মোহাম্মদ হাবিব ও পথচারী মো. আকিমুজ্জামান।

আজ সোমবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান তাদের সাক্ষ্য নেওয়ার পর আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। এর আগে গত ২৮ অক্টোর্ব অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় বাদী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ১৮ নভেম্বর আরও দুজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

আজ সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে শামস ওরফে সাজ্জাদ, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও মো. আবু সিদ্দিক ওরফে সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে সাহাবকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অপর ২ আসামি মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আদনান ওরফে হাসিবুল ওরফে আব্দুল্লাহ পলাতক।

মামলায় গত ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গত ১৩ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের (সংশোধনী ২০১৩) ৬ (১)(ক)(অ)/৬(২)/৮/৯/১০/১২/১৩ ধারায় চার্জশিট দাখিল করেন। এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

চার্জশিটে বলা হয়, ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে অপপ্রচার ও মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ এনে মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিকল্পনা এবং শারীরিক প্রশিক্ষক সেলিমের উপস্থিতিতে আনসার আল ইসলামের সদস্যরা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করেন। এর দুই দিন আগে থেকে জঙ্গি সায়মন, সোহেল, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়ের গতিবিধি অনুসরণ করেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরাফাত, খলিল ওরফে আলী, অন্তু ও অনিক হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন।

হত্যাকাণ্ডের সময় মেজর জিয়া, শরীরচর্চা প্রশিক্ষক সেলিমসহ ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন, যাতে তাদের সহযোগীদের কেউ আটক করতে না পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ঘটনাস্থলে হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি ফেলে পালিয়ে যান বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।

২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ ওরফে বন্যাকে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। অভিজিৎ দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন এবং বন্যা চিকিৎসক।

পরে ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/মোআ)