‘পেরেকমুক্ত গাছের’ দাবিতে মাঠে ‘সবুজ বরগুনা’

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৫৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দিনে দিনে কমে যাচ্ছে সবুজ অরণ্য। নগরায়নের ফলে কমতে শুরু করেছে গাছের সংখ্যাও। আবার যাও আছে তাতে সর্বত্রই নজরে পড়ে পেরেক ঠুকে দেয়া। বড় বড় গাছের হাতের নাগালের অংশে এসব পেরেক ঠুকে দিয়ে দিয়ে নিজের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড বা নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচারপত্র ঝুলিয়ে রাখেন অনেকে।

বরগুনায় এমন ‘পেরেক যন্ত্রণা’ থেকে গাছকে মুক্ত করার মিশনে নেমেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সোমবার ‘সবুজ বরগুনা’ নামের সংগঠনটির কর্মীরা শহরের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দিনভর মই দিয়ে উপরে ওঠে গাছ থেকে পেরেক তুলে দেন। বিশেষ করে শহরের অনেক গাছ আছে যা শতবর্ষী, কোনোটির হয়ত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স। সেসব গাছেও ঠুকে দেয়া আছে অসংখ্য পেরেক। স্বেচ্ছাসেবীরা এসব গাছকে অগ্রাধিকার দিয়ে পেরেক তুলছেন। তাদের ভাষ্য, এসব গাছ বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ এগুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করবে, পাশাপাশি বেশি পরিমাণে অক্সিজেন সরবারহ করতে সক্ষম।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবুজ বরগুনার পক্ষ থেকে শহরের সড়কে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশ দুর্লভ গাছ, ফলজ ও ওষুধি গাছ লাগানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব গাছ নিয়মিত পরিচর্চাও করা হয়।

সম্প্রতি বরগুনা শহর থেকে বেশ দূরত্বে দুর্গম জায়গায় পালের বালিয়াতলিতে নদীর তীরের ব্লক রাঙিয়ে আলোচনার জন্ম দেয় সবুজ বরগুনা। যা দেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে সোলার প্যানেল লাগানোসহ বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে।

সবুজ বরগুনার প্রতিষ্ঠাতা আরিফ খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা চাই বরগুনায় কোনো গাছে পেরেক থাকবে না। গাছ স্বাভাবিকভাবে বাঁচবে। এজন্য নতুন এই কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক আমাদের এ কাজে উৎসাহ দিয়েছেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রথম দিনে বরগুনা শহরের সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের গেট থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গেইট পর্যন্ত বহুবছরের পুরানো বেশ কিছু গাছ থেকে পেরেক তুলেছি। পর্যায়ক্রমে গোটা শহরের গাছ পেরেকমুক্ত করার মিশনে আমরা নামবো।

বিলবোর্ড বা প্রচারনা পত্র লাগাতে যারা গাছে পেরেক লাগিয়েছেন তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে এসব নিজ দায়িত্বে তুলে নেয়ারও অনুরোধ করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। অন্যথায় তাদের স্বেচ্ছাসেবীরা এসব তুলে ফেলবে।

বরগুনার সিনিয়র সাংবাদিক হাসান ঝন্টু ছাড়াও সংগঠনের সদস্য আল আমিন, ইশতি, রিদয়, ইহান, জুবীন, শান্ত, ইকন, মহারাজা, রাকিব, মিলন, সাকিব দিনভর এই কার্যক্রমে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি আরিফ খান।

(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)