বুয়েটে ‘র‌্যাগিং’ ও ‘রাজনীতি’ করলেই বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৩৭

র‌্যাগিং ও রাজনীতিতে জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তি ‘বহিষ্কার’ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

সোমবার রাতে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের এবং সাংগঠনিক রাজনীতির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িতদের অভিযোগসমূহ মূল্যায়ন ও শাস্তি নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্টের আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ৬ অক্টোবর আবরা ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ক্লাস বর্জন করে আসছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ফলে প্রায় দুই মাস ধরে অচল বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার নামী এই প্রতিষ্ঠান।

আবরার হত্যাকাণ্ডের পর শিক্ষার্থীরা যে ১০ দফা দাবি তুলেছিল, ধাপে ধাপে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।

গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে আবরারের মৃত্যু ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে ওই ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

১০ দফার কয়েকটি মেনে নেওয়ার পর গত ১৫ অক্টোবর মাঠের আন্দোলন থেকে সরে আসে বুয়েট শিক্ষার্থীরা; তবে মামলার অভিযোগপত্র ও অন্য দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দেয়।

পাঁচ সপ্তাহের তদন্তে গত ১৩ নভেম্বর পুলিশ ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিলেও ক্লাসে ফেরার জন্য বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তিনটি শর্ত দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ওই শর্তের একটি ছিল অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা। এছাড়া আগের র‌্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়ার দাবিও ছিল তাদের।

আবরার হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের গত ২১ নভেম্বর স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। সেদিন শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য আরও ছয়জনকেও বহিষ্কার করা হয়। গত ২৮ নভেম্বর আরও ২৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এরা সোহরাওয়ার্দী ও আহসানউল্লাহ হলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত ছিল।

এর মধ্যেই বুয়েটে র‌্যাগিং ও রাজনীতিতে জড়িত থাকলে সর্বোচ্চ শাস্তি ‘বহিষ্কার’ নির্ধারণ করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করার কথা জানানো হয়।

ঢাকাটাইমস/৩ডিসেম্বর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :