সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এফিডেভিট শাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে।
এফিডেভিট শাখার অনিয়ম নিয়ে প্রধান বিচারপতির সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের ক্ষোভ প্রকাশের পরদিনই বদলির বিষয়টি জানা যায়।
গত ১ ডিসেম্বর তাদের বদলির আদেশ দেওয়া হয় বলে ঢাকাটাইমকে বিষয়টি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান।
গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টের এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসানোর পরও অনিয়ম চলা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। এক মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চে এই হতাশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সোমবার একটি মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে থাকার কথা থাকলেও সেটি ৯০ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়। এই অনিয়মের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
তখন প্রধান বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, কি আর করবো বলেন? এফিডেভিট শাখায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েও অনিয়ম রুখতে পারছি না। এ সময় আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা বসালাম (এফিডেভিট শাখা কক্ষে), এখন সবাই বাইরে এসে এফিডেভিট করে।’ তখন অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অনেকেই মামলার তালিকা ওপর নিচ করে কোটিপতি হয়ে গেছে।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের অনেক আইনজীবীও আদালতে আসেন না, বেতন বেশি হওয়ার কারণে এমন হচ্ছে। বেতন কম হলে তারা ঠিকই কষ্ট করে আদালতে আসতেন।
এরপর প্রধান বিচারপতি তাৎক্ষণিক এক আদেশে ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসানকে আপিল বিভাগে তলব করেন। তবে মামলার সিরিয়াল করা নিয়ে মেহেদী হাসানের ব্যাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন। পরে ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঢাকাটাইমস/২ডিসেম্বর/এআইএম/এমআর