সিন্ডিকেট সভার আগেই সিদ্ধান্ত জানালেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:১৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় জরুরি সিন্ডিকেটের সভা আহ্বান করেছে প্রশাসন। এ সভায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু ও শিক্ষার্থীদের হলে থাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে সভার আগেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা। সেখানে তিনি লেখেন, “আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট। ৮ ডিসেম্বর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হবে। ৬ ও ৭ তারিখ থেকে শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবে। সূত্র: মাননীয় উপাচার্য ম্যাম।”

সভাপতি ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার আগে বেলা আড়াইটার দিকে হল খোলাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচলের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা।

উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই জুয়েল রানা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই স্ট্যাটাস দেন।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট সভা হওয়ার আগে আমি আনুষ্ঠানিক কিছু বলতে পারি না। তবে কেউ কিছু লিখে থাকলে সেটা তার বিষয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, আমরা ওইসব তারিখে হল ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি জানিয়েছি। তিনি আমাদের আশ^াস দিয়েছেন। তাই আমি ওই স্ট্যাটাস দিয়েছি। তবে আমরা সিন্ডিকেট সিদ্ধান্তের উপরই আস্থা রাখতে চাই। জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক এম মাইনুল হুসাইন স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার দরুন নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়াসহ পরীক্ষা ও শিক্ষা কার্যক্রম খুব দ্রুত কার্যকর করতে হবে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় গান-বাজনা করা যাবেনা। এছাড়া একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ রাখা যাবে না। একই সঙ্গে চলমান আন্দোলনে যেসকল জামাত-শিবির নেতা-কর্মীরা জড়িত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাজেদ সীমান্ত, জহিরুল ইসলাম বাবু, বায়জিদ খান কলিংস, অর্ণব সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফফান হোসেন আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো তারেক হাসান, অভিষেক মন্ডল, পঙ্কজ কুমার দাস প্রমুখ।

গত ৫ নভেম্বর দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর প্রেক্ষিতে ঐদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :