শহীদ হন সাড়ে তিনশত মুক্তিযোদ্ধা
কয়েক শ মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগে ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় রাজৈর
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে সাড়ে তিনশত মুক্তিযোদ্ধাসহ শহীদের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৪ ডিসেম্বর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে রাজৈর থানার মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় পর্যুদস্ত পাক হানদার বাহিনী মাদারীপুরের রাজৈর থানা থেকে পালিয়ে পাশের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ছাগলছিড়া এলাকায় চলে যায়। সেখানে ১৩৫ জন পাক হানাদার বন্দি হয়। মুক্ত হয় রাজৈর উপজেলা। তবে, মুক্তিযুদ্ধের ৪৭ বছরেও নিহতদের অনেক পরিবারই প্রাপ্য সম্মান পায়নি বলে জনমনে দুঃখ ও ক্ষোভ আছে। শহীদদের সম্মানে একটি স্মৃতি স্তম্ভ করার দাবিও আছে সবার।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কমলাপুর, পাখুল্যা, লাউসর, কদমবাড়ি,মহিষমারী, ইশিবপুর ও কবিরাজপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু করে।
রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর ইউনিয়নের কমলাপুর সর্বেস্বর বৈদ্যের বাড়ি খলিল বাহিনীর প্রধান খলিলুর রহমান খানের নেতৃত্বে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
মাদারীপুর জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকায় সরকারি উদ্যোগে স্মৃতি স্তম্ভ করা হবে সেখানে তাদের নাম লেখা হবে। আর্থিক সাহায্যের ব্যাপারটি ইউএনও বা জনপ্রতিনিধিরা করতে পারেন।
ঢাকাটাইমস/০৩ডিসেম্বর/ইএস