অনুমোদন ও মানহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধে আইনি নোটিশ

অনুমোদনহীন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী।

বুধবার স্বাস্থ্য সচিবসহ ছয়জনকে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)।

একইসঙ্গে নোটিশে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আইন মোতাবেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে নোটিশে।

এই আইনজীবী বলেন, দি মেডিকেল প্রাকটিশনার অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি দেবেন না। এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে ব্যাঙের ছাতা মতো বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে ওঠেছে। যার অধিকাংশই অনুমোদনহীন, মানহীন ও সেবা প্রদানের চেয়ে টাকা উর্পাজনেই মালিকদের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর এ টাকা উপার্জনের মানসিকতায় অনেক সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন।

নোটিশে ২০১৬ সালের ২০ জুলাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রচারিত সতর্কীকরণ বিজ্ঞতি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশান প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে PGT, BHS, FCPS (Part-I) , ( part-2), MD-(in course) ( part-1) (part-2) ( থিসিস পর্ব) (last part) course completed (cc)

MS-(in course) ( part-1) (part-2) ( থিসিস পর্ব) (last part) course completed (cc) ইত্যাদি এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণসমূহ যথা FRCP, FRHS, FICA , FICS, FAMS, FIAGP ইত্যাদি উল্লেখ না করার জন্য নির্দেশ দিন। কারণ এগুলো কোনো স্বীকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত নয়। অনেকেই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশান না করেও ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন। যা জনসাধারণের সাথে প্রতারণার শামিল, বিএমডিসির আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্ত অনেক চিকিৎসক ওই নির্দেশ অমান্য করে তাদের ভিজিটিং কার্ড, সাইনবোর্ড, প্রেসক্রিপসান প্যাডে এসব প্রশিক্ষণের নাম উল্লেখ করায় সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হন। অনেক ক্ষেত্রে অপচিকিৎসারও শিকার হন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

(ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এআইএম/জেবি)