বর্জ্য থেকে জৈব সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৫২ | আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৫৫

সৈয়দ ফারুক হোসাইন
সৈয়দ ফারুক হোসাইন

সাধারণত কোনো এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় সে এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন ও অপসারণ। দেশে বর্জ্য মোকাবেলায় পরিবেশ রক্ষা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে একটি সুখবর হলো যশোরে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে জৈব সার, বিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস। এক সময় যশোরের যে স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় নাক-মুখ রমাল দিয়ে চেপে ধরতে হতে সে স্থানটি এখন হয়ে উঠছে অনেক গুরত্বপূর্ণ। দেশের প্রথম ময়লামুক্ত পৌরসভা  যশোর। শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ময়লাখানায় ১৩ দশমিক ২৫ একর আয়তনের পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় উপর নির্মাণ করা হয়েছে। ময়লা খানা হিসাবে পরিচিতি সেই স্থানে এখন আর দুর্গন্ধ নেই। নেই আগের মতো ময়লা আবর্জনাও। সেখানে গড়ে উঠছে নানা স্থাপনা। সেই ময়লা খানা থেকে এবার উৎপাদন হচ্ছে জৈব সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ।

আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ কাজটি করছে যশোর পৌরসভা। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রথম ময়লামুক্ত পৌরসভায় পরিণত হয়েছে যশোর। এ ব্যাপারে সবধরনের পদক্ষেপ নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট। শহরের নানা বর্জ্য দিয়ে জৈব সার, বিদ্যুৎ ও বায়োগ্যাস তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রাচীনতম পৌরসভা যশোর। ১৪ দশমিক ৭২ বর্গকিলোমিটার আয়াতনের এই পৌরসভার চার লাখ মানুষের বসবাস। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৫৭টি ডাস্টবিন ছিল। কিন্তু এর বেশিরভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে নাগরিকরা বাধ্য হয়ে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে আসছিলেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এরপর নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৪ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৭ টাকা ব্যয়ে শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ময়লাখানায় পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় নির্মাণ করা হয় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট। শহরের সব ময়লা আবর্জনা এই প্লান্টে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে কম্পোস্ট সার ও বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়।

এটিই দেশের প্রথম আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট। দেশের প্রথম ময়লামুক্ত পৌরসভা হিসেবে যশোরকে ঘোষণা করা হয়। এজন্যে পৌরসভার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাপক প্রচারণা চালায়। প্রতিটি নাগরিককে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করে পুরো পৌর এলাকাকে ময়লামুক্ত করা হয়। মডেল পৌরসভা হিসেবে যশোর একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট বা ময়লা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন হবে জৈব সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ। বর্জ্য থেকে শহরে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় এ জন্যে ময়লা আবর্জনা ফেলতে চালু করা হচ্ছে ঢাকনাযুক্ত কন্টেইনার ডাস্টবিন। উদ্দেশ্য শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, আলোকিত করা ও জলাবদ্ধতা দূর করা।

সম্প্রতি কিছু কিছু শহরের অনেক মহল্লায় স্থানীয়ভাবে ময়লা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসার সামনে প্যাকেট করে ময়লা রেখে দিলে স্থানীয় কর্মীরা সেটা নিয়ে সিটি করপোরেশনের ময়লা সংগ্রহের ট্রাকে রেখে আসে। স্থানীয় এ কর্মীদের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে বাসা-ফ্ল্যাট-ইউনিটপ্রতি অঞ্চলভেদে মাসে কম-বেশি ৫০ টাকা দিতে হয়। খোলা রিকশা-ভ্যানে বাসাবাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের সময় দুর্গন্ধে অসহনীয় অবস্থা তৈরি হয়। সিটি করপোরেশনের যে ট্রাকে ময়লা সংগ্রহ করা হয়, সেটা যদি খোলা ট্রাক হয় তাহলে তো আশপাশের মানুষ নাকে-মুখে রুমাল চেপে দ্রত হেঁটেও দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পায় না। ওইসব ময়লা ট্রাকে তোলার সময় তো দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। বাসাবাড়ি, স্থাপনা, রাস্তার কনটেইনারের ময়লা-বর্জ্য অপসারণের সমগ্র প্রক্রিয়া যানবাহন ও জনমানুষের চলাচল যখন কম থাকে, তখন অর্থাৎ মধ্যরাত বা ভোর হওয়ার আগে সম্পন্ন করতে হয়। দিবালোকে এসব সংগ্রহ ও পরিবহন করা ঠিক নয়, এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

বেশ কয়েক বছর ধরে সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকা শহর পানিতে তলিয়ে যায়। তখন ড্রেন, খালের ময়লা-আবর্জনা পানিতে ভেসে বেড়ায়। বৃষ্টির পানি সরে গেলেও সেসব বর্জ্য রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও বিভিন্ন স্থাপনার সামনেই পড়ে থাকে। এতে পরিবেশ দূষিত এবং জনমানুষের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত হয়। রাজধানী ও এর আশপাশের বিভিন্ন জলাভূমি, খাল নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এ জায়গাগুলো কীটপতঙ্গের অবাধ বিচরণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এতে আশপাশের লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ধূপ পুড়িয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে, গোলাপজল ছিটিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রব থেকে।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন সাত হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়, যার ৮০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারে সিটি করপোরেশন। বাকি ২০ শতাংশ বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকে। এসব বর্জ্যেরে কারণে পরিবেশ দূষিত হয়। স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মেডিকেল বর্জ্য আলাদা না করেই ফেলা হচ্ছে ডাস্টবিনে। নিক্ষিপ্ত বর্জ্যেরে তালিকায় রয়েছে সুচ, সিরিঞ্জ, রক্ত ও পুঁজযুক্ত তুলা, গজ, ব্যান্ডেজ, মানবদেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গ, ওষুধের শিশি, ব্যবহৃত স্যালাইন, রক্তের ব্যাগ ও রাসায়নিক দ্রব্যসহ অনেক ধরনের চিকিৎসাজাত আবর্জনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাসপাতাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা প্লান্ট থাকা জররি। রাজশাহী ও ঢাকা ছাড়া অন্য কোনো সিটিতে সে ব্যবস্থা নেই। গৃহস্থালি বর্জ্য, মেটাল, পাস্টিক ও ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য আলাদা করতে পারলে ক্ষতি কম হবে।এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক পদ্ধতি গড়ে না ওঠায় বিভিন্ন রোগব্যাধি দ্রত ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। দরিদ্র ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর একটি বিরাট অংশ বর্জ্যরে স্তূপ থেকে পাস্টিকের বোতল, লোহা, জুতা-স্যান্ডেল, অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র সংগ্রহের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের কারণে সংশ্লিষ্টরা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। এ কাজে কম-বেশি দুই লাখ মানুষ জড়িত; এ সংখ্যা বেড়েই চলছে। হতদরিদ্র এ জনগোষ্ঠীকে বিকল্প কাজের ব্যবস্থা করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

সাধারণত কোনো এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় সে এলাকায় বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন ও অপসারণ। বিভিন্ন এলাকার বর্জ্য সংগ্রহ করে যেখানে জমা করা হয়, তাকে বল হয় ল্যান্ডফিল সাইট, এটি নির্মাণে বেশকিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ল্যান্ডফিল সাইটের ৩০ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো জলাশয় থাকা যাবে না, ১৬০ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো খাবার পানির নলকূপ রাখা যাবে না এবং ৬৫ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো ঘরবাড়ি, স্কুল ও পার্ক থাকা যাবে না।

ঢাকা শহরের দুটি ল্যান্ডফিল সাইটে (আমিনবাজার ও মাতুয়াইল) এ বিষয়গুলো আরও কঠিনভাবে প্রতিপালন করতে হবে। নতুবা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু ও দুর্গন্ধ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। ফলে নানা রকম দূষণ মারাত্বক আকার ধারণ করবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার মতে, ঢাকার কিছু অদ্ভুত ব্যাপার আছে, এখানে মেইন রোড, লেইন, বাইলেইন সবখানে দোকান, মুদি দোকান, হকার, চা বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা কাঁচাবাজার রয়েছে, তারা সারা দিন ধরে ময়লা ফেললে শহরকে তো ময়লা লাগবেই।

ইউএনএফএ এর প্রতিবেদন মতে, বিশ্বের অন্যতম দূষিত এ ঢাকা মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় সমস্যা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বর্জ্যকে জৈব সার উৎপাদনসহ বহুবিধ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরে স্যুয়ারেজ ওয়াটারকে পরিশোধনের মাধ্যমে পানযোগ্য বিশুদ্ধ পানিতে পরিণত করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও সীমিত পরিসরে বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশার কথা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অদূর ভবিষ্যতে নগরবাসী এর সুফল পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে নাজুক করছে এবং এলাকার সৌন্দর্য বিনষ্ট করছে। স্থায়ী-অস্থায়ী, ছোট-বড় যেকোনো ইন্সটলেশনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিবেচনায় রাখতে হবে সেটি শহরের সৌন্দর্যহানি ঘটাচ্ছে কি না, জনমানুষের অসুবিধা হচ্ছে কি না, পরিবেশের ক্ষতি বা অন্য কোনো জনউপদ্রব তৈরি করছে কি না। আমাদের শহরগুলোতে এগুলোর কোনো কিছুই বিবেচনায় নেয়া হয় না। রাস্তায় রাস্তায় ময়লা ফেলার লোহার বড় বড় কনটেইনার শহরের সৌন্দর্যহানিসহ মানুষ ও পরিবেশের বহুবিধ সমস্যা সৃষ্টি করছে। কয়েক বছর আগে স্থাপিত শহরময় ফুটপাতের লোহার তৈরি ঝুলন্ত মিনি ওয়েস্টবিনগুলো শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে কোনো ভূমিকা রাখছে কি না এটিও নতুন করে খতিয়ে দেখতে হবে।

উন্নয়নপ্রত্যাশী দেশের প্রধান শহরে ওই বিনগুলো বড়ই বেমানান। নতুন স্যাটেলাইট সিটি বা হাউজিং সৃজন ও যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে এখন যেমন ট্রাফিক সার্কুলেশন, পরিবেশ রক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের ক্লিয়ারেন্স নিতে হয়, ঠিক একইভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গ্যারান্টি ক্লজ সংযোজনের বিষয়টিও গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে। একই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত সংস্থা ও প্রতিটি হাউসহোল্ডের সংশ্লিষ্টদের যথাযথভাবে ময়লা-বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত নিয়মিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হবে। শহরের জনমানুষের বাসাবাড়ি ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। যাদের সৌন্দর্য জ্ঞান আছে, তারা ওই ছোট্ট বাসাকে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সুন্দর ও পরিপাটি করে রাখছে।

বড় বড় কনটেইনার সরানোর কোনো উপায় যদি না-ই থাকে, তাহলে এগুলোকে এমনভাবে তৈরি ও স্থাপন করতে হবে, যেন শহরের সৌন্দর্যবর্ধনে অবদান রাখতে পারে এবং মানুষ ও পরিবেশের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি না করে। রাস্তার বিরাট অংশ দখল করে রাখা কিম্ভূতকিমাকার ওই কনটেইনার ও মিনি ওয়েস্টবিনগুলো মানুষের মনে কী প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে  অপরিচ্ছন্ন ও অসুন্দর শহর অপবাদের এ তিলক আমাদের ললাট থেকে সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।  

সঙ্গত কারণেই যানবাহন ও পথচারী চলাচলে অসুবিধা হয় এবং আবর্জনার দুর্গন্ধে পথচারীদের জীবন অতিষ্ঠ হচ্ছে। ফ্লাইওভারের নিচের জায়গাগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ তো নে-ই, উপরন্তু সেখানেও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বাসাবাড়ির আশপাশ, রাস্তা-বাজার, জনসমাগম স্থল, ডোবা, বিভিন্ন স্থাপনার আড়াল-আবডালকে ময়লা ফেলার উৎকৃষ্ট জায়গা হিসেবে বেছে নেয়া হচ্ছে। দোকানিরা রাতে দোকান বন্ধ করার সময় যেখানে-সেখানে বর্জ্য ফেলে রাখে। কোনো কোনো কাঁচাবাজারের অবস্থা আরও করুণ। কাদা-পানি, ময়লা-আবর্জনায় সেখানে যাওয়া-আসাই কঠিন হয়ে পড়ে। যেখানে-সেখানে পড়ে থাকা কফ-থুতু, পান-বিড়ির উচ্ছিষ্টাংশ, ফলমূলের খোসা, কাগজ, পানির বোতল, নির্মাণসামগ্রীর ময়লা-আবর্জনায় আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

একটি শহরের সৌন্দর্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অনেকাংশে নির্ভর করে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর। যে শহরে এই ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি সেই শহরের পরিচ্ছন্নতা অনেকাংশে নির্ভর করে বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতার ওপর। আমাদের দেশের শহরগুলোর ময়লা-আবর্জনা অপসারণ গতানুগতিক পদ্ধতি ও গতিতে এখনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে হয় না। লক্ষ করা যায়, আবর্জনা রাখার বড় বড় কনটেইনার রাস্তায় ঢাকনাবিহীন পড়ে আছে। কোথাও কোথাও রাজপথের কিছু অংশে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।

লেখক: কর্মকর্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়