দেশজুড়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ পেছানোর প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। রবিবার থেকে সারা দেশে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।

দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে হট্টগোলের পর বৃহস্পতিবার বার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচির ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।

তিনি বলেন, ‘আগামী রবিবার থেকে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’

এর আগে খালেদার জামিন শুনানি পেছানোর আদেশকে কেন্দ্র করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হট্টগোল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাসে। হট্টগোলের মধ্যে চুপচাপ বসেছিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতি। পরে বিচারকরা এজলাস ছেড়ে চলে যান। এরপর বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা আসে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে আপিল বেঞ্চে বেগম জিয়ার জামিন শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্ট এখনও তৈরি করতে পারেনি। বেগম জিয়ার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও বাকি আছে। এজন্য রিপোর্ট তৈরিতে আরও কয়েদিন সময় প্রয়োজন।’

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। আগে তার জামিনের ব্যবস্থা করুন।’

আদালত মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য সময় বাড়িয়ে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

তখন অবস্থানরত বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘এ আদেশ মানি না’ বলে উচ্চস্বরে শ্লোগান দিতে থাকেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের শ্লোগানের বিরোধিতা করলে শুরু হয় হট্টগোল। দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা ও পাল্টাপাল্টি শ্লোগান চলে। এর এক পর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেগম জিয়ার জামিন শুনানি মুলতবি করে এজলাস ছেড়ে যান প্রধান বিচারপতি ও বেঞ্চের সদস্যরা। এরপর প্রায় দেড়-দুই ঘণ্টা আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

(ঢাকাটাইমস/০৫ডিসেম্বর/বিইউ/ডিএম)