‘শিগগির হবে ভোলা-বরিশাল সেতু’

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:০১

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে খুব শিগগির আমরা ভোলা-বরিশাল সেতু দেখতে পাব- সেদিন বেশি দূরে নয়। তখন ভোলা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থাকবে না, মূল ভূ-খণ্ডের সাথে যুক্ত হবে। এরপর ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতু হলে চট্টগ্রাম থেকে পায়রা ও মোংলা বন্দর পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন। আমরা দোয়া করি, আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা প্রশাসক হলরুমে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ প্রস্তাবনার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল বলেন, ‘ভোলা-বরিশাল সেতু হলে ভোলা হবে একটি শিল্পায়নের জায়গা। এখানে পর্যাপ্ত গ্যাস আছে। এখানে গ্যাসভিত্তিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। এক কথায় ভোলা হবে সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী জেলা।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জীবনে অনেক জেল-জুলুম, অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। বারবার মৃত্যু কাছ থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। ২০০৪ সালে হাওয়া ভবন থেকে নির্দেশ দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই মামলায় জিয়া রহমানের ছেলে তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার দুই কন্যা ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। আমরা বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাতে আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছি। সে পতাকা হাতে নিয়ে তিনি নিষ্ঠা ও সততার সাথে দেশ পরিচালনা করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ সকল বিচার শেষ করে দেশকে আন্তর্জাতিক বিশে^ মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন। তার নেতৃত্বেই ভোলা-বরিশাল সেতু হবে। একদিন ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুও নির্মাণ করা হবে।’

সভায় সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতুর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিবে। তারপর আমরা সেটি পর্যালোচনা করে দেখব।

২০২৫ সালের মধ্যে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জার্মানি ও চাইনিজসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি আবেদন জমা দিয়েছে। সাড়ে নয় কিলোটির দৈর্ঘের এ সেতুটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আঁড়িয়াল খাঁ-কালাবদর নদীর উপর সাড়ে তিন কিলোমিটার ও তেঁতুলিয়া-ইলিশা নদীর উপর দেড় কিলোমিটার মোট দুইটি সেতু এবং বাকি সাড়ে চার কিলোমিটার এ্যাপ্রোস সড়ক হবে।’

তিনি আরো জানান, ‘২০৪১ সালের আমাদের যে রূপকল্প আছে- তাতেও ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুর কথা উল্লেখ আছে। ইতোমধ্যে ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেতুর ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিটিও শুরু করা হয়েছে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভোলা-৩ (লালামোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, খাদ্য মন্ত্রালয়ের সচিব সাহাবুদ্দিন, ভূমি মন্ত্রনালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সারসহ প্রশাসনের ঊর্র্ধ্বতন কর্মকতারা।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :