নন্দীগ্রামে হচ্ছে দুই গুচ্ছগ্রাম, সুবিধা পাবে ৯০ পরিবার
প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৫১
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক কোটি ৪৭ লাখ দুই হাজার টাকা ব্যয়ে এগিয়ে চলছে দুটি গুচ্ছগ্রামের কাজ। এ গুচ্ছগ্রামে ৯০টি হতদরিদ্র পরিবার বসবাস করার সুযোগ পাবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, হতদরিদ্র পরিবার যাদের ঘরবাড়ি নেই তাদেরই গুচ্ছগ্রামে ঘর দেয়া হবে। এর পাশাপাশি তারা চার শতক করে জায়গা পাবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের ‘গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের’ আওতায় উপজেলার নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের গোছন বাঘমারা পুকুরপাড়ে ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নের রায়পুর চাঁদপুকুরপাড়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। প্রথমে রায়পুর চাঁদপুকুরপাড়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এতে বরাদ্দ করা হয় ৬২ লাখ এক হাজার টাকা।
অপরদিকে নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের গোছন বাঘমারা পুকুরপাড়েও গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ রয়েছে ৮৫ লাখ এক হাজার টাকা।
সরজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ সরকারের একটি প্রশংসনীয় কাজ। গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ হওয়ার কারণে দুটি গ্রামে ৯০ জন হতদরিদ্র পরিবার মাথাগোঁজার ঠাঁই পাচ্ছে। সঙ্গে চার শতক করে জায়গা পাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উপজেলায় আরও কিছু গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করার দাবি জানান তারা।
ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, রায়পুর চাঁদপুকুরপাড়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করায় ৪০টি হতদরিদ্র পরিবার ঘর পাবে। এটা বর্তমান সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এতে আমরা খুশি।
তিনি আরও জানান, গুচ্ছগ্রামের কাজের অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। কারণ প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ তদারকি করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় উপজেলার নন্দীগ্রাম সদর ইউনিয়নের গোছন বাঘমারা পুকুরপাড়ে ও ভাটগ্রাম ইউনিয়নের রায়পুর চাঁদপুকুরপাড়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য কাজ এগিয়ে চলছে। আমি প্রতিনিয়ত গুচ্ছগ্রামের কাজ তদারকি করছি।
তিনি আরও জানান, দুটি গুচ্ছগ্রামে ৯০ হতদরিদ্র পরিবার ঘর পাবে। তারা ঘরে বসবাস করতে অন্যান্য সুবিধাও পাবে। এর পাশাপাশি চার শতক করে জায়গা দেয়া হবে তাদের। এটা সরকারের খুব ভালো একটি উদ্যোগ।
ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর