যমুনায় নাব্য সংকটে আটকা পড়ছে পণ্যবাহী জাহাজ

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:২৬

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র নাব্য সংকট। এতে আটকে পড়ছে পণ্যবাহী জাহাজ। মালামাল নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি ঘাটে ভিড়তে পারছে না জাহাজগুলো। মাঝনদীতে আটকে পড়া জাহাজ থেকে লাইটারেজ করে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন পণ্য বন্দরে আনা হচ্ছে। তবে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, জাহাজে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে আসার কারণে মাঝ নদীতে আটকে পড়েছে জাহাজগুলো।

যমুনা নদীর নাকালিয়া, ঢালারচর ও লতিফপুর পয়েন্টে আটকা পড়েছে প্রায় ২০টি পণ্যবাহী জাহাজ। কার্গো জাহাজগুলো রাসায়নিক সার, কয়লা, গম ও চাল নিয়ে বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে যাচ্ছিল।

নৌযান লেবার এসোসিয়েশন বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব মাস্টার জানান, বাঘাবাড়ী নৌবন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সারসহ অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করা হয়। এ নৌপথে জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার, রাসায়নিক সার ও বিভিন্ন পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ চলাচল করে। বাঘাবাড়ী বন্দর থেকে উত্তরাঞ্চলে চাহিদার ৯০ ভাগ জ্বালানি তেল ও রাসায়নিক সার সরবরাহ করা হয়। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে বাঘাবাড়ী বন্দরের মাধ্যমে চাল ও গমসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। এ নৌপথের ছয়টি পয়েন্টে নাব্য সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। একারণে জাহাজগুলো সরাসরি বাঘাবাড়ি বন্দরে ভিড়তে পারছে না।

জ্বালানি তেল, রাসায়নিক সার, কয়লা, গম ও চাল নিয়ে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও মংলা বন্দর থেকে বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এমভি আফিফা, এমভি জুয়েল, ওটি আছিয়া বেগম, এমভি সুমাইয়া হোসেন, এমভি ফয়সাল, এমভি ফয়সাল, এমভি ফয়সাল-৮, আছিয়া পরিবহন, ভাই ভাই, এমভি ফেয়ারি, এমভি ইব্রাহীম খলিল, জুয়েল, আল তায়েফ, এমভি ওয়ারিশ আহনাফ, সততা পরিবহন, মাজননী, বিসমিল¬াহসহ প্রায় ২০টি ছোট-বড় জাহাজ যমুনা নদীর মাঝপথে আটকা পড়েছে।

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক এস.এম সাজ্জাদুর রহমান ঢাকা টাইমসকে বলেন, বাঘাবাড়ি নদী বন্দর দ্বিতীয় শ্রেণির। বর্তমানে এই নৌরুটে নাব্য নেই। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও মংলা বন্দর থেকে জাহাজগুলো বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে পৌঁছতে সাত ফিট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে এই চ্যানেলে পানির গভীরতা রয়েছে আট ফিট। জাহাজগুলোতে অতিরিক্ত (ওভার লোডিং) মালামাল নিয়ে আসার কারণে সরাসরি বাঘাবাড়ি ঘাটে পৌঁছতে পারছে না। যমুনার মাঝ নদীতে আটকা পড়ে থাকছে। আটকেপড়া জাহাজ থেকে লাইটারেজ করে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন পণ্য বন্দরে আনা হচ্ছে। এরজন্য দায়ী জাহাজের চালকরা। বাঘাবাড়ি বন্দরে জাহাজগুলো যেন ভিড়তে পারে এজন্য সবধরনের প্রস্তুতি আছে আমাদের।

(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/জেবি)