ফেসবুকে আপত্তিকর তথ্য ছড়ানোয় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসকে জড়িয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ওই ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবেদ উকিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আবেদ উকিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি সদর উপজেলার গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস পলাতক রয়েছেন।

সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা আবেদ উকিল ও পবিত্র বিশ^াসকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। পরে পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এ মামলা রেকর্ড করে।

মামলার বিবরণ ও বাদী সুকান্ত বিশ^াস সূত্রে জানা গেছে, বৌলতলী ইউনিয়নের কলপুর গ্রামের জাহেদ উকিলের ছেলে বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আবেদ উকিল ও গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাস তাকে জড়িয়ে ফেসবুকের মেসেঞ্জারে নানান অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়। এতে তার সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

তিনি আরো জানান, আবেদ উকিলের অত্যাচারে অতিষ্ট কলপুর গ্রামের মানুষ। তার ভয়ে বৌলতলী-ঘোনাপাড়া সড়ক রাতে নিরাপদ নয়। আবেদ উকিলের ছত্রছায়ায় কলপুর, সুরগ্রাম, রাউৎপাড়া এলাকায় দীর্ঘবছর মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর চলে আসছে। বৌলতলী এলাকায় কুমার মধুমতি নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের কাছ থেকেও আবেদ উকিল নিয়মিত চাঁদা আদায় করে থাকে।

তার এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।

সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাসের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে কলপুর গ্রামের আবেদ উকিল ও গান্ধিয়াশুর গ্রামের সহাদেব বিশ্বাসের ছেলে পবিত্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়। আবেদ উকিলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি পবিত্র বিশ্বাস পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/এলএ)