স্ট্যামফোর্ডের সেই ছাত্রীর লাশ দাফন, শোকে স্তব্ধ স্বজনরা

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৩৮

ব্যুরো প্রধান, ময়মনসিংহ

রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২১) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ৭নং চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের বাড়িতে সকালে তার দাফন হয়। এর আগে সকাল দশটার দিকে তার জানাজা হয়।

ভোরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায় রুম্পার মরদেহ। এরপরই বিজয়নগর গ্রামে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। মরদেহ পেয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে যান আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামবাসী।

একমাত্র মেয়েকে চিরতরে বিদায় দিয়ে বাবা রুকন উদ্দিন নিজেকে সামলে নিতে পারছেন না কোনোভাবেই। বারবার ছুটে যাচ্ছেন মেয়ের কবরের পাশে। অসহায় পিতার ঝড়ে পরা অশ্রুতে কবরের মাটিও ভিজে উঠছে। মেয়ে হারানোর বেদনা কোনোভাবেই সইতে পারছেন না বাবা।

অপরদিকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রুম্পার মা নাহিদা আক্তার। আর্তনাদ করছেন আর সন্তান হারানোর বেদনায় তিনি মুষড়ে পড়েছেন। কান্না যেন থামছেই না। কান্নার শব্দের সাথে সাথে ভেসে আসছে মেধাবী সন্তানের নানা কথা। কখনো চিৎকার করে কাঁদছেন, কখনো ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।

একপর্যায়ে মায়ের চোখে আর পানি আসে না। তিনি নির্বাক। লোক দেখলেই এক পলকে চেয়ে থাকেন। হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘তোরা এত্ত খারাপ, তোদের মনে মায়া দয়া নেই। তোরা কোন মায়ের পেট থেকে পরিসনি, তোদের বিচার যেন দেইখ্যা যাইতে পারি।

এলাকাবাসী বলছেন, মৃত্যুর পরিণতির প্রতিশব্দ এমনভাবে নাড়া দিয়ে যায়নি। এ শুধু মৃত্যুই নয়, বাবা-মায়ের আমৃত্যু বুকফাটা যন্ত্রণা।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকার সড়ক থেকে গত বুধবার মধ্যরাতে উদ্ধার করা রুবাইয়াত শারমিন ওরফে রুম্পার মরদেহ। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার একটি ফাঁড়িতে পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত।

মামলার তদন্ত করছেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, হত্যার ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। শিগগিরই এ হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/এলএ)