জেলা সম্পাদক দাবি করে দোকানিকে আ.লীগ নেতার হুমকি

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৩৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লার উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা মুদি দোকানির সাথে বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তিনি দেবিদ্বার উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত সেরাজুল ইসলামের ছেলে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এম হুমায়ুন মাহমুদ।

ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন মাহমুদ ওই দোকানির দিকে রুখে গিয়ে তার সাথে বাকবিতণ্ডা করছেন। ভিডিওতে ওই নেতা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক না হয়েও নিজেকে মুদি দোকানির কাছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে দাবি করেন। আর বলছেন, ‘ওই ব্যাটা আমাকে জয় বাংলা শিখাও’। তখন ওই মুদি দোকানি বলছেন, ‘আমি নড়িয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দোকানির কথা থামিয়ে এম হুমায়ুন মাহমুদ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দোকানিকে বলতে থাকেন, ‘ওই তোর নড়িয়ার গুষ্টি কিলাই, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তোরে খাইয়া ফালামু, বাইরাইয়া এক্কেবারে সোজা কইরা দিমু।’ ওই দোকানি বলেন, ‘কথা সুন্দর করে বলেন’। পরে ওই নেতা বলেন, ‘তোরে আমি শেখাই, তোরে আমি শেখাই।’

পরে নিজের সেল ফোন টিপতে টিপতে চলে যান।

ভিডিওটি মোস্তফা মাহবুব বাপ্পি নামে এক ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৬ মিনিটে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন, তিনি ক্যাপসনে লিখেন, ‘কারও সাথে কথা বলতে গেলে যদি নিজের পদের পরিচয় দিতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কার পরিচয় দিবেন’। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধমেও। অবশ্য শুক্রবার তার আইডিতে ওই ভিডিওটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ততক্ষণে ওই ভিডিওটি হাজার হাজার ফেসবুক আইডি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন মাহমুদকে বিভিন্ন ভর্ৎসনা করে পোস্ট দেয়া হয়। এই ভিডিওটি ঢাকা বাংলামোটরে ১নং ইস্কাটন রোডের মেসার্স বাবুল স্টোরের সামনের ঘটনা। গাড়ি পার্কিং নিয়ে তাদের মধ্যে এ বিতণ্ডা হয়।

ভিডিওতে প্রকাশিত অধ্যক্ষ এম হুমায়ূন মাহমুদ এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেবিদ্বারের আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা বলেন, একজন মুদি দোকানির সাথে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা হুমায়ুন মাহমুদের এমন আচরণ দুঃখজনক। তার আচরণে পরিবর্তন আনা জরুরি। এ ব্যাপারে এম. হুমায়ুন মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, আগামী ৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ওই সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এবং উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। বর্তমান কমিটির তিনি সহসভাপতি।

(ঢাকাটাইমস/৬ডিসেম্বর/এলএ)