রাজস্ব আদায়ে আরও কঠোর হবে এনবিআর: চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৫ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজস্ব  আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বলেছেন, ‘রাজস্ব আহরণে একটু কঠোর হবো। যারা কর দেওয়ার যোগ্য কিন্তু কর দিচ্ছে না তাদের প্রথমে বোঝাবো, এরপর না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

রবিবার জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যত টিনধারী আছে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সামর্থ্যবানদের রিটার্ন দিতে বাধ্য করা হবে।’ তবে করদাতাদের পক্ষ থেকে কোনো হয়রানির অভিযোগ যেন না ওঠে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

মোশাররফ বলেন, ‘বর্তমানে ৪৬ লাখ টিআইএনধারী রয়েছে। তাদের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেছে ২২ লাখ। যারা এখনো রিটার্ন দাখিল করেননি তাদের করাঞ্চলের কর্মতর্কারা ফোন করবে। আগামী জানুয়ারি থেকে রিটার্ন দাখিল না করা প্রত্যেক টিআইএনধারীকে ফোন দেবে। তাদের রিটার্ন দাখিল করতে বলবে। আর যারা আয়কর দেওয়ার যোগ্য তাদের করসহ রিটার্ন দাখিলে বাধ্য করা হবে।’

‘ভ্যাট দিচ্ছে জনগণ, দেশের হচ্ছে উন্নয়ন’ এই স্লোগানে এবারো এনবিআর ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস ও ১০-১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন করবে।

এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাটকে  করদাতাদের জন্য সহজবোধ্য করা, ভ্যাট প্রদানে করদাতাদের উদ্বুদ্ধকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কর্মকর্তাদের সাথে করদাতাদের সম্পর্ক স্থাপন।

এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই লাখ ২০ হাজার ৩১৩ কোটি টাকা রাজস্ব আহরিত হয়েছে। এর মধ্যে ভ্যাট থেকে রাজস্ব এসেছে ৭৮ হাজার ৬৯৪ কোটি টাকা। যা মোটা আহরিত রাজস্বের ৩৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভ্যাট আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ১৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা যা মোট রাজস্বের ৩৬ ভাগ। বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোশাররফ হোসেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এনবিআরকে ব্যবসায় বাধা হিসেবে অভিহিত করেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘উনি এটা কেন বলেছেন, আমি এর ব্যাখ্যা পাই না। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের আগে তাদের সঙ্গে আমি অনেক মিটিং করেছি। তাদের কথা শুনেছি। দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবছরই আমরা ব্যবসায়ীদের প্রচুর পরিমাণে সহযোগিতা দিয়ে আসছি। বিশ্বের কোনো দেশে কাস্টমস থেকে আহরিত শুল্কের পরিমাণ এত বেশি নয়। কিন্তু এরপরেও যখন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় তখন আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।’

সম্প্রতি ভ্যাট আদায় নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এক শঙ্কা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্যারের ভ্যাট আদায় নিয়ে হতাশার কোনো কারণ নেই। আমরা তার সঙ্গে এরপর কথা বলেছি। আজকেও আপনাদের জানালাম। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’

(ঢাকাটাইমস/০৮ডিসেম্বর/জেআর/জেবি)