‘কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা কেন অপসারণ নয়’

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (ফাইল ছবি)

পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা কেন ধ্বংস ও অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতি (বেলা) র দায়ের করা রিটের শুনানি করে এ আদেশ দিল হাইকোর্ট।

আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পানিসম্পদ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী, তাকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। 

পরে আদালত থেকে বেরিয়ে সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের জানান,  কক্সবাজার জেলার, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় উন্নয়ন বহির্ভূতি ও সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল দখল থেকে রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি সেটিও জানতে চেয়েছে আদালত।

পাশাপাশি ১২০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের অবৈধ দখল, নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ, পৌর বর্জ্য ও ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বৈআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির টাস্কফোর্সের সভায় কক্সবাজারের সংরক্ষিত এলাকায় ১০ তলা সার্কিট হাউজ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত কেন স্বেচ্ছাচারি ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও সুয়ারেজ প্লান্ট ছাড়া কক্সবাজার পৌর এলাকায় হোটেল মোটেল রেস্তোরাঁ মার্কেট ও বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ এবং কক্সবাজার পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। 

কক্সবাজারের সাতটি উপজেলায় অবৈধ হোটেল-মোটেল নির্মাণ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে বেলা। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এই রুল জারি করে।

(ঢাকাটাইমস/০৯ডিসেম্বর/এআইএম/জেবি)