মালিককে খুন করে গরু চুরি: গ্রেপ্তার ৮

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৪৪

রাজশাহী মহানগরীতে মালিককে খুন করে গরু চুরির ঘটনায় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন সরাসরি চুরি ও হত্যায় জড়িত বলে জানা গেছে। সোমবার সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজিদ হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। নগরীর রাজপাড়া থানায় এই প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

সাজিদ হোসেন জানান, গরুর চুরির ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। চোরদের চেষ্টা ছিল নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে মালিককে অচেতন করে গরু চুরি। কিন্তু এই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কারণে মালিককে হত্যার পরই গরু চুরি করা হয়। পরে সেগুলো বিক্রিও করা হয়েছিল। গত বুধবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর দাসপুকুর মোড়ে এই হত্যার শিকার হন আবদুল মজিদ (৬০) নামে এক বৃদ্ধ। দাসপুকুর মোড়ে তার খড়ির দোকান রয়েছে। এই দোকানের পাশে সরকারি জমিতে একটি টিনের ঘর করে গরু-ছাগল পালন করতেন। সেদিন রাতে তাকে হত্যার পর দুটি গাভী ও দুটি বাছুর চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা হয়।

তদন্তকালে পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন- নগরীর বহরমপুর এলাকার হামিদুর রহমান বাবু ওরফে খামার বাবু, একই এলাকার মো. মিলন ও মো. জিন্দার, দাসপুকুর এলাকার আরিফুল ইসলাম, হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার রবিউল ইসলাম এবং পবা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আবুল কাশেম, আবদুস সামাদ এবং আশুরা বেগম।

এদের মধ্যে আবুল কাশেম স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপ) সদস্য। তার বাড়ি থেকেই গরুগুলো উদ্ধার হয়েছে।

পুলিশ বলছে, কাশেমের ভাই মকবুল গরুচোর সিণ্ডিকেটের সদস্য। তাকে ধরা যায়নি। তবে তার স্ত্রী আশুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ইউপি সদস্য কাশেমের বাড়িতে চোরাই গরু দেখাশোনা করতেন গ্রেপ্তার আবদুস সামাদ। আর গ্রেপ্তার রবিউল একজন ভটভটি চালক। মজিদকে হত্যার পর তার ভটভটিতে করেই গরু নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিসি সাজিদ হোসেন জানান, জিন্দার ও মিলন নিহত মজিদের খড়ির দোকানে কাজ করতেন। তারাই মূলত আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার চারদিন আগে মজিদের গরু চুরির পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন তারা মজিদকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে অচেতন করে গরু নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়েও তা সম্ভব না হওয়ায় মিলন ও জিন্দার মজিদের গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করেন। এতে মৃত্যু না হলে আরিফুল গলায় মাফলার জড়িয়ে মজিদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর রবিউলের ভটভটিতে করে গরু পৌঁছে দেয়া হয় মকবুলের কাছে। মকবুল সেগুলো তার ভাই কাশেমের বাড়িতে রাখেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় আরএমপির বোয়ালিয়া জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবদুর রশিদ, রাজপাড়া থানার সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাকিবুল ইসলাম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :