চলেই গেল সেই সুরভী

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম

ঘর পেল, সোলার পেল সাথে পেল প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড, কিন্তু সুফল পাওয়ার আগেই চলে যেত হলো সুরভীকে। রবিবার দুপুরে এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ সকলকে কাঁদিয়ে চলে যায় সুরভী। প্রতিবন্ধী হলেও এক সময় সুরভী ছিল চঞ্চল আর কথা বলার ঝুড়ি, কিন্তু যখন শুরু হলো ভালো করার চিকিৎসা আর সেই সাথে ধীরে ধীরে একেবারেই চলে গেল সবাইকে ছেড়ে। থেমে গেল তার পরিবারের একটি প্রদীপ। কাঁদল এলাকাবাসী।

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার হেলিপ্যাড এলাকার শফিকুল ইসলামে মেয়ে সুরভী। জন্মের কিছুদিন পর অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়। পরে ধীরে ধীরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে পড়ে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। সেই সাথে বেশ চঞ্চল হয়ে পড়ে। সারাদিন দৌড়ঝাপ, খেলা আর রাস্তায় রাস্তায় দৌড়ে বেড়ানো, পানিতে লাফ দেো যেন কাজ হয়ে উঠে। তাই তার মানসিক অবস্থার কথা চিন্তা করে পরিবারের লোকজন বাড়িতে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। বেঁধে রাখার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কয়েকদিন আগে ভাইরাল হলে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান ও সেই সময় দায়িত্বে থাকা চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা এবং সুরভীকে শিকলমুক্ত করেন।

এসময় তাকে উভয় পক্ষ থেকে সাহায্য করা হয়। পরে প্রতিশ্রুতি মতাবেশ নির্বাহী অফিসার শাহ্ মো. শামসুজ্জোহা সরকারিভাবে একটি ঘর ও সোলার প্রদান করেন এবং একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডেরও ব্যবস্থা করে দেন। এছাড়াও পুলিশ সুপার তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। মুখে হাসি ফোটে সুরভীর পরিবারের।

কিন্তু সেই হাসি আর আনন্দ দুঃখের অশ্রু হয়ে ঝড়ছে তার বাবা-মায়ের। শুধু তার পরিবারের নয়, অশ্রু ঝড়ছে এলাকাবাসীও।

এলাকাবাসী জানান, তার পরিবার তার পিছনে অনেক কষ্ট করেছেন পরে সরকারিভাবে তাকে সুবিধা দেয় শুরু হলে তার সুফল ভোগ করার আগে এভাবে চলে যেতে হলো তা মানাটা বড় কষ্টের।

(ঢাকাটাইমস/৯ডিসেম্বর/এলএ)