ভারতে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:২৭ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল-১৯ এর প্রতিবাদে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বিক্ষোভ চলছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বিলের প্রতিবাদে আসাম রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সংস্থাগুলো ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। সেখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 

বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার পুড়িয়ে জাতীয় মহাসড়কগুলোতে অবরোধ সৃষ্টি করেছে। দিবরুগড় ও গুয়াহাটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টাকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এ সময় বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করে। অবরোধের কারণে কাজীরাঙা ন্যাশনাল পার্ক ও জরহাটে আসা পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। কারণ এসব এলাকায় উড়োজাহাজ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

মণিপুর পিপল অ্যাগেইনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের ডাকা (এমএএনপিএসি) ধর্মঘটে রাজ্যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের প্রধান বাজার ইমা মার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় যানবাহন চলাচল বন্ধ।

এমএএনপিএসির আহ্বায়ক ইয়ামনামচা দিলীপকুমার বলেন, আমরা চাই না মণিপুরে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল কার্যকর হোক।

মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কে এইচ দেবব্রত বলেন, পার্লামেন্টে বিল পাস হলে তাঁর দল আদালতে যাবে।

নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের ডাকা ১১ ঘণ্টার ধর্মঘটে মঙ্গলবার উত্তর পূর্বাঞ্চলে অচলাবস্থা চলছে। অল অরুণাচল প্রদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হাওয়া বাগ্যাং বলেন, ‘পুরো উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আমরা ছোট রাজ্য। রাজ্যগুলোর ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ।’

নাগা নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নীতিনির্ধারণী অংশ নাগা হোহোর সাধারণ সম্পাদক কে এলু এনডাং বলেন, নাগারা নাগরিকত্ব সংশোধন বিলের বিরুদ্ধে। সরকার যদি ইনার লাইন পরামিট বাস্তবায়ন করে তাহলে আমরা নিরাপদ। তবে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল কেন প্রয়োজন?

মিজোরামের প্রভাবশালী সিভিল সোসাইটি গ্রুপ সেন্ট্রাল ইয়াং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লামাচচুয়ানাও একই ধরনের উদ্বেগ জানিয়েছেন।

 (ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/আরআর)