ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে খালেদার চিকিৎসা চায় ড্যাব

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতারা।

তারা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে তার প্রাপ্য জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে পছন্দ মতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়া হোক। অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ নীরবে বসে থাকবে না। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ।

তিনি বলেন, ‘ইদানীং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা অসত্য বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা মনে করি খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন।’

ড্যাব নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে উনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। এ সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এ অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভণ্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন।’

ফরহাদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান। এমনকি জেলখানায় থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ে পরিক্রমায় তিনি কীভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এ অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ ২৮ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে যা বলেছেন তা সত্যের অপলাপ।’

ড্যাবের এই নেতা বলেন, ‘একজন রোগীর মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই। আমাদের জানামতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকরা তার মেডিকেল রিপোর্ট দই দফা প্রস্তুত করে বিএসএমএমইউর উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছেন। এরপরও অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপণের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যুঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল।’

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা. মো. সহিদুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ডা. কাজী মাযহারুল ইসলাম দোলন, ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল হক রাহাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দফতর সম্পাদক ডা. মো. মশিউর রহমান কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)