‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশন’

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৪৫

তথ্যপ্রযুক্তিপ্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন এক নেতার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন এখন ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে। ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন ছিল শেখ হাসিনার। সেটা ২০০৯ সালে পরিণত হয় সরকারের ভিশনে। তার ঠিক ১১ বছর পর এসে সেই ভিশন এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষের ভিশনে পরিণত হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯” উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি ঘোষণা দিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ কলসেন্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওয়াহিদ শরিফসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পলক  বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণার পর দেশে বিগত ১১ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লক্ষাধিক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আইটি খাতের সম্প্রসারণের জন্য আগামী ৫ বছরে দেশে আরও ১০ লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

‘সত্য মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো আগামী ১২ ডিসেম্বর  যথাযথ মর্যাদায় জেলা-উপজেলাসহ  দেশব্যাপী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯  উদযাপিত হবে। এ উপলক্ষে সরকারীভাবে  এদিন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০০৮ সালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর পালন করা হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস।

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯ উপলক্ষে  গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে  সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।  দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাতটায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হবে। 

এদিন সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকাল নয়টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা হতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি হবে। র‌্যালীটি খামারবাড়ী হয়ে আবার দক্ষিণ প্লাজায় গিয়ে শেষ হবে।  জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী র‌্যালীপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বেল  তিনটায়র  বসুন্ধরার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রাঙ্গণে মনোমুগ্ধকর কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটির সভাপতি  এ.কে.এম রহমতুল্লাহ  উপস্থিত থাকবেন।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সকল জেলা, উপজেলায় র‌্যালী, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আমার দেখা ডিজিটাল বাংলাদেশ এর উপর প্রেজেন্টেশন তৈরি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসের মাধ্যমে দিবসটি যথাযথ উদ্যাপিত হবে বলে জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/এজেড)