রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েও সু চির মিথ্যাচার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:০৮ | প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:০৪

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর কোনও গণহত্যা সংঘটিত হয়নি বলে দাবি করেছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে গাম্বিয়া যেসব তথ্য দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বলেও সাফাই গেয়েছেন নোবেলজয়ী বিতর্কিত এই রাজনীতিক।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে দ্য হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) বুধবার নিজ দেশের পক্ষে বক্তব্য দিতে দাঁড়িয়ে নোবেলবিজয়ী বিতর্কিত এই রাজনীতিক এমনটাই মিথ্যাচার করেন।

মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, ‘যদি দেশের অভ্যন্তরে গণহত্যার উদ্দেশ্যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তবে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত সেনা সদস্য, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর বাইরে আমি এ বিষয়েও নিশ্চিত করছি যে, আমাদের সবার নজর সেনা সদস্যদের দিকে। একইসঙ্গে অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বক্তব্যে একবারের জন্যও রোহিঙ্গা শব্দটি উচ্চারণ না করে সু চি বলেন, ‘রাখাইনে সেনা অভিযানে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের অভিযোগ হয়ত উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে তার পেছনে যে গণহত্যার উদ্দেশ্য ছিল- এমন ধরে নেয়াটাও মিয়ানমারের জটিল বাস্তবতায় ঠিক হবে না।’

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা চৌকিতে কথিত হামলার অজুহাত দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় উগ্র বৌদ্ধরা। রোহিঙ্গাদের ওপর কাঠামোবদ্ধ যে সহিংসতা ও বর্বরতা চালানো হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে ১৯৮৪ সালের আন্তর্জাতিক গণহত্যা কনভেনশন ভঙ্গ করেছে মিয়ানমার। আর এই অভিযোগেই ওআইসির সহায়তায় মিয়ানমারকে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতে এনেছে পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ গাম্বিয়া।

গত মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগের পিস প্যালেসে গাম্বিয়ার পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে মামলাটির শুনানি শুরু হয়। এদিন দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবকর তামবাদু মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরেন এবং গণহত্যা বন্ধের দাবি জানান।

এরপর বুধবার মিয়ানমারের পক্ষে বক্তব্য দিতে এসে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর সু চি দাবি করেন, রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে গাম্বিয়া যে চিত্র এ আদালতে উপস্থাপন করেছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’।

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই অভিযান শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। গত দুই বছরে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে ঠাঁই নিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহতাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলে অভিহিত করে আসছে জাতিসংঘ।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

নির্বাচন করার জন্য অর্থ নেই, সরে দাড়ালেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী

সিরিয়ার আলেপ্পোতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৮

দ. আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর বালিচাপা দিলো ইসরায়েলি সেনারা 

গাজায় যুদ্ধাপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রতি আহ্বান

কলকাতা বিমানবন্দরে চলল গুলি, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে হুমকি পেলেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ

মস্কোতে কনসার্টে হামলা: এখনো প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ 

বাবা কোটিপতি, ২০ বছর ধরে জানতই না ছেলে!

গাজা যুদ্ধের ১৭৩তম দিন, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :