নিবন্ধনের আওতায় আসছে পদ্মায় চলা স্পিডবোট
দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মা নদীতে যাত্রী পারাপারে চলা বেসরকারি মালিকানাধীন স্পিডবোটগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বুধবার নৌ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম অব বাংলাদেশের (এসআরএঅবি) নবনির্বাচিত নেতারা সচিবালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা জানান।
পদ্মা নদীতে পারাপার করা অসংখ্য স্পিডবোট যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নদীপথ পার হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও বাস্তবায়ন করা হবে।
মাওয়া থেকে মাঝিরঘাট ও কাঁঠালবাড়ী রুটে বর্তমানে দেড় শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে। এতে প্রায় সময়েই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটে। এসব স্পিটবোটের কোনো নিবন্ধন নেই। শুধু পদ্মার স্পিডবোট-ই নয়, নিবন্ধনের বাইরে রয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলা স্পিডবোটগুলোও।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি এমন কোনো কাজ করবো না যাতে পরবর্তী প্রজন্ম আমাকে গালি দেয়। অন্তত পক্ষে আমার হাত দিয়ে তেমন কিছুতে সই হবে না। রাজনীতিবিদদের মূল্যায়নের সময় এসেছে। এখন সবাই মূল্যায়নের বিষয়টি বলতে শিখছে।
নৌ সংশ্লিষ্ট খাতের উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, সবাই সবার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে একটা জায়গায় যেতে পারবো। রাতারাতি কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু একটা রাস্তায় উঠতে চাই। কতদূর যেতে পারবো সেটা পরের কথা।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমার মনে হয় আশা জাগানিয়া কাজ শুরু করতে পেরেছি। শুরুটা ভালো করা গেলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত আমাদের লড়াইটা করতে হবে। সে লড়াইয়ে আপনারা (সাংবাদিক) আমাদের সঙ্গে থাকবেন বলে আশা করি।
ঢাকার চারপাশে চক্রাকার নৌ-পথে যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে আশেপাশের নদীগুলোর ওপর বিদ্যমান সংযোগ সড়কে ব্রিজ উঁচু করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, উঁচু করতে হলে ট্রেন স্টেশন সরাতে হবে। তবে আউটগোয়িং ট্রেনগুলোর স্টেশন ঢাকার বাইরে করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।
পদ্মা নদীর পাড়ে মাওয়াঘাটে পারাপার নির্বিঘ্ন করতে সেখানকার হোটেল ও দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে।
এসআরএফবি সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল এবং সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)