সু চির অধঃপতন দেখে দুঃখ লাগছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা গণহত্যার ওপর আন্তর্জাতিক আদালতে নিজ দেশের পক্ষে সাফাই গাওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির ‘অধঃপতন’ দেখে তার জন্য ‘দুঃখ লাগছে’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে অং সান সু চির মিয়ানমারকে ডিফেন্ড করাটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার দপ্তরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বুধবার তার দেশের পক্ষে দাঁড়িয়ে সু চি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর কোনও গণহত্যা সংঘটিত হয়নি বলে দাবি করেছেন। গাম্বিয়া যেসব তথ্য দিয়েছে তা অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বলেও সাফাই গেয়েছেন নোবেলজয়ী বিতর্কিত এই রাজনীতিক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজে সু চির মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছি। এখন তার এই অধঃপতন দেখে আমার খুব দুঃখ লাগছে। আমি আশা করবো তিনি তার ভুল বুঝতে পারবেন এবং মানবতার পক্ষে কথা বলবেন।’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিয়ে ভারতের বিবৃতি ঠিক নয়

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব বিল পাসের সময় বাংলাদেশে অন্য ধর্মের লোক নিপীড়িত বলে দেশটির দেয়া বিবৃতিকে ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এজন্য বাংলাদেশের অন্য ধর্মের লোকরা বিবৃতি দিয়ে ভারতের বিবৃতি ঠিক নয় জানাবে বলেও প্রত্যাশা করছেন তিনি। বিতর্কিত ওই বিলের কারণে ভারতের ঐতিহাসিক ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানকে দুর্বল হবে বলেও মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ঐতিহাসিকভাবে একটি সহনশীল দেশ। তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে এবং সেখান থেকে পদস্খলন হলে ভারতের যে ঐতিহাসিক অবস্থান সেটা দুর্বল হবে বলে আমি মনে করি।’

‘ভারতের নাগরিকত্ব বিল পাসের সময় যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে সেটি ঠিক না। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি অত্যন্ত বেশি। আমাদের দেশে অন্য ধর্মের লোক নিপীড়িত নয়। সব ধর্মের লোক এখানে আছেন। সরকারি অনেক কর্মকর্তা অন্য ধর্মের লোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং তারা যে তথ্য দিয়েছে এখান থেকে নির্যাতিত হয়েছে- সেটি ঠিক না। যারা তথ্য দিয়েছেন এবং যারা তাদের বুঝিয়েছেন তারা সত্য কথা বলেননি। আমি আশা করবো আমাদের দেশে যারা অন্য ধর্মের লোক আছে তারা বিবৃতি দেবে যে এটি ঠিক না। আমরা আশা করি বাংলাদেশে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এমন কোনও কাজ ভারত করবে না।’

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/ডিএম)