৫৪৮ কানুনগোর পদায়ন লটারিতে: ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

লটারির মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়া ৫৪৮ জন কানুনগোকে (ম্যানেজমেন্ট ও উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার) পদায়ন করা হবে। তদবির বাণিজ্য বন্ধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

বুধবার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদায়নের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পদোন্নতি পাওয়া ৫৪৮ জন কানুনগোর মধ্যে ম্যানেজমেন্টে ২৫২ জন এবং উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার হচ্ছেন ২৯৬ জন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, সবার ইচ্ছা থাকে ভালো ভালো জায়গায় পোস্টিং নেয়া। এ বিষয়ে অনেকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। লটারির মাধ্যমে বদলি হওয়ায় যার যেখানে পড়বে তিনি সেখানে যাবেন। এ বিষয়ে কারও কোনো প্রশ্ন থাকবে না। কেউ বলতে পারবেন না যে, তদবির করে এখানে এসেছি।

যেসব পদ যত বেশি সেনসিটিভি সেসব পদে লটারির মাধ্যমে বদলি করার পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতেও যেন এ প্রক্রিয়া থাকে সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

বদলি হওয়ার পর পুনরায় তদবির করে ফিরে আসা বা বদলির স্থানে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হবে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইচ্ছা হলে থাকবেন, ইচ্ছা হলে থাকবেন না- এটি পারবেন না। এ এখতিয়ার তার নেই, এটি করার কেউ সাহস করবেন না। আমি মন্ত্রণালয়কে সেই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি।’

এসব পদে যারা শাস্তি পেয়েছেন, তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়নি জানিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা প্রতিনিয়ত মনিটরিংয়ের মধ্যে আছেন। অভিযোগ এলে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি একটা সিস্টেম ডেভেলপ করতে। ভবিষ্যতে যেন পদ্ধতিটা অবলম্বন করা হয়। এ পদ্ধতিতে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই।’

মন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজ হতে লটারি তুলে পাঁচজন করে কানুনগোর পদায়ন নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে ভূমি সচিব মাকছুদুর রহমান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।

দীর্ঘদিন ধরে এসব পদে পদোন্নতি বন্ধ ছিল জানিয়ে ভূমি সচিব বলেন, উচ্চ আদালতে কয়েকটি মামলা ছিল। এ কারণে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রচলিত বিধান অনুসরণ করে ৫৪৮ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

এর আগে যে কোনো স্থান থেকে মাত্র ৫ মিনিটে অনলাইনে জমির খতিয়ানের কপি সংগ্রহের অনলাইন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী।

(ঢাকাটাইমস/১১ডিসেম্বর/বিইউ/ইএস)