আবারো ঝালকাঠি আ.লীগের নেতৃত্বে শাহ আলম-সাইফুল্লাহ

ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতি পদে আগের কমিটির সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম ও সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তারা তৃতীয়বারের মতো সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে তাদের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য ও ঝালকাঠি-২ আসনে সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু। শহরের শিশুপার্কের মুক্তমঞ্চে এ সম্মেলন হয়।

এর আগে দুপুর ১২ টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সাংসদ আমির হোসেন আমু। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ পনির সম্মেলনে বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আমির হোসেন আমু বলেন, যারা নৌকায় চড়ে বিজয় লাভ করে আরেকজনের নৌকা ফুটো করে ডুবায় তাদের আর কোনোদিন নৌকায় স্থান হবে না। আওয়ামী লীগ পরিবারের ভেতর যারা ভাঙন সৃষ্টি করতে চায়, দ্বিধা বিভক্ত করতে চায়, সার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে, তাদর ব্যপারে সজাগ থাকতে হবে। তাদেরকে শিক্ষা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ নেতা।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, যারা চাঁদবাজ, টেন্ডারবাজ, যারা দুর্নীতিবাজ, যারা জঙ্গি এবং সাম্প্রদায়িক তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই-সংগ্রম। এ সংগ্রাম শেখ হাসিনার একার নয়, দেশের ১৬ কোটি মানুষের সংগ্রাম। আর এ সংগ্রামে আমাদের সকলকে শেখ হাসিনার পাশ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম অব্যহত রাখতে হবে।

কাউন্সিলে নতুন মুখ হিসেবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মুজিবুল হক আকন্দ, নুরুজ্জামান সুরুজ ও তরুণ কর্মকার। এরা সকলেই পূর্বের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নতুন সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন শারমিন মৌসুমী কেকা, মেজবাহ উদ্দিন খান ও হাবিবুর রহমান হাবিল। কাউন্সিলে জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/ইএস