সাতসকালে রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:৪৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শুক্রবার সকালে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর মগবাজার মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শেষ হয় মগবাজার রেলগেটে। এ সময় গলি থেকে ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতাকর্মী বিএনপির মিছিলে ধাওয়া দেয়।

মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সম্পাদক কাউছার, যুবদলের সোহেল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নাছির উদ্দিন নাছির, রাজু আহমেদ, ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সেক্রেটারি আবদুর রহিম প্রমুখ। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রধানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে পুরোদমে টালবাহানা চলছে। ২৯ ডিসেম্বরের রাতের ভোটের সরকার সকল অবৈধ ক্ষমতার জোরে বেগম জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। গুরুতর অসুস্থ নেত্রীর জামিনে বাধা দেয়া হচ্ছে। দেশজুড়ে অরাজকতা, অনাচার, দুরাচার ঢাকতেই বেগম জিয়াকে এখনো মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দী করার মূল কারণই ছিল মধ্যরাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখে ভোট ডাকাতির কলঙ্কিত নির্বাচন কখনো সম্ভব ছিল না। কারণ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জনগণের কাছে একজন জনপ্রিয় নেত্রীর নাম। তিনি জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির প্রতীক, সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক, গণতন্ত্রের প্রতীক। এইজন্যই তার ওপর চলছে নির্যাতনের বিভীষিকা।

রিজভী বলেন, আজকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বেগম জিয়াকে জামিন দেয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনোভাবেই জড়িত না থাকলেও সাজানো অভিযোগ ও মামলায় সুপরিকল্পিতভাবে বেগম জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দী করে রেখেছে সরকার। এদেশে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর আমলে যারা সত্যবাদী ও প্রতিবাদী কন্ঠস্বর তাদের জায়গা হয় কারাগারে। আর গণতন্ত্র হত্যাকারীরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রাখে। যারা এখন নিজেদের সরকার বলে দাবি করছে তারা অবৈধ ও ভোট সন্ত্রাসী। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আর জনগণের মিলিত আন্দোলনেই কেবল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারামুক্ত হবেন এবং গণতন্ত্রের বিজয় সুনিশ্চিত হবে।

ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/বিইউ/এমআর