ফরিদপুরে হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা

বিশেষ প্রতিনিধি, ফরিদপুর
 | প্রকাশিত : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:২৯

ফরিদপুরে আন্তর্জাতিক হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় হাল্ট প্রাইজ অর্গানাইজেশন-এর আয়োজনে ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজের ৩য় তলার হল রুমে এ অনুষ্ঠান হয়।

মোট আটটি দলের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ডা. হারুনার রশিদ, ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী, ডা. মো অসিউল কবির। এটিকে ছাত্রছাত্রীদের নোবেল প্রাইজ বলা হয় এবং হাল্ট প্রাইজ জাতিসংঘের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটি হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজন এবং সহায়তা করে। আর এটা ছাত্র-ছাত্রীকেন্দ্রিক বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট।

হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতাটি চারটি রাউন্ডে বিভক্ত। অন ক্যাম্পাস প্রোগ্রাম, রিজিওনাল প্রোগ্রাম, এক্সেলেরেটর প্রোগ্রাম ও গ্লোবাল ফাইনাল।

এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে টিম রিসাইকেলার প্রথম এবং গ্রিন টিম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে পরবর্তী রাউন্ডে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

প্রসঙ্গত, আহমেদ আস্কার এবং বারটিল হাল্ট ২০১০ সালে হাল্ট প্রাইজ পোগ্রাম চালু করেন। এটি এক বছর যাবত চলমান একটি প্রতিযোগিতা। খাদ্য নিরাপত্তা, পানি, শক্তি এবং শিক্ষা, চিকিৎসা এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সৃষ্টিশীল সমাধান নিয়ে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এটি হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল এবং ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ এর অংশীদারিত্বে পরিচালিত হয়। বিল ক্লিনটন বিষয়টি নির্ধারণ করে প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে বিজয়ী ঘোষণা করে।

হাল্ট প্রাইজের প্রতিযোগিতা সারাবিশ্বের অংশগ্রহণকারী ১ হাজার ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজে অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে সরাসরি ক্যাম্পাস ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। এখানে ক্যাম্পাস ফাইনালে যে দল জয়ী হবে সে দল রিজিওনাল প্রোগ্রামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন, জাপান, ও চীনসহ ২৫টি দেশে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। গ্লোবাল ফাইনাল রাউন্ডে যে দলের আইডিয়া সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য হবে তাদের এক মিলিয়ন ডলার পুরস্কার প্রদান করা হবে।

অংশগ্রহণকারী দল একটি বিজনেস প্ল্যান তৈরি করবে, যেটি পরিবেশের জন্য উপকারী। অর্থাৎ, এমন কাজ যা থেকে নিজের লাভ হবে এবং পরিবেশ উপকৃত হবে। এরকম যেকোনো আইডিয়া যদি কারো মাথায় থাকে, তাহলে এই সুযোগ তার জন্য। যদি সব ধাপ পার করে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে ওই দলকে জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংক ১ মিলিয়ন ডলার দিবে সে ব্যবসা শুরু করার জন্য। ক্যাম্পাস থেকে চ্যাম্পিয়ন দল সরাসরি রিজিওনাল রাউন্ডে যাবেন, যেখান থাকবেন ড. মো. ইউনূস।

এখান থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ হবে এরই সাথে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। গ্রুমিং সেশন হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন এবং জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নগদ পুরস্কার, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :