স্টামফোর্ড ছাত্রী রুম্পার মৃত্যু

ছেলেবন্ধুর কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাজধানীর স্টামফোর্ড ইউনির্ভাসিটির শিক্ষার্থী রুবায়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুর ক্লু এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত ছেলেবন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রুম্পার মৃত্যুর ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছে না পুলিশ। তারা অপেক্ষা করছে ফরেনসিক প্রতিবেদনের।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চার দিনের রিমান্ড শেষে সৈকতকে আজ আদালতে পাঠানো হয়। তার কাছ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সৈকত ও রুম্পার দুটি মোবাইল ফোন, রুম্পার পোশাক ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া রুম্পার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে রুম্পা আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস ঢাকা টাইমসকে বলেন, রিমান্ড শেষে  আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।

গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ বাসার সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২২ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবুল খায়ের বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরের দিন রাতে নিহতের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে রুম্পার  লাশ শনাক্ত করেন। রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আর আসামি সৈকত ওই ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র ছিলেন। সেই সুবাদে শারমিনের সঙ্গে আসামির ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।

মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ বিভাগ) একটি দল ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় নিহত শারমিনের কথিত ছেলেবন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩ ডিসেম্বর/এএ/মোআ)