স্টামফোর্ড ছাত্রী রুম্পাকে ধর্ষণের আলামত মেলেনি

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:২১ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ। শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য জানান।

সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সন্দেহ করছিলাম মৃত্যুর আগে রুম্পা ধর্ষিত হয়েছিল কিনা। সেই সংক্রান্ত মতামত আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এখন পর্যন্ত তার বডিতে ধর্ষণের কোনো আলামত পাইনি। পোস্টমর্টেম রিপোর্টের ফাইনিন্স পর্যালোচনা করে আমরা রবিবার পুলিশকে দেব।’

গত ৫ ডিসেম্বর রুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে জানানো হয়েছিল, নিহত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। রুম্পার মৃত্যুর পর তার কথিত বয়ফ্রেন্ড আবদুর রহমান সৈকত ও রুম্পার দুটি মোবাইল ফোন, রুম্পার পোশাক ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়।

গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ বাসার সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ২০-২২ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই রমনা মডেল থানার উপপরিদর্শক আবুল খায়ের বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পরের দিন রাতে নিহতের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে রুম্পার লাশ শনাক্ত করেন।

রুম্পার মৃত্যুর ঘটনায় তার কথিত ছেলেবন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে শুক্রবার চার দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার কাছ থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

রুম্পার মরদেহ উদ্ধারের ১১দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। আর আসামি সৈকত ওই ইউনিভার্সিটির বিবিএর ছাত্র ছিলেন। সেই সুবাদে রুম্পার সঙ্গে আসামির ভালো সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/এসএস/এমআর)