ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে হত্যার ঘটনায় মামলা

ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ফাতেমা বেগম (১৪) হত্যার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায়।

শনিবার বিকালে ওই কিশোরীর মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে তাকে দাফন দেওয়া হয়েছে শহরের আলীপুর পৌর কবরাস্থানে।

এর আগে নিহত ফাতেমার বাবা এলাহী শরিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শুক্রবার রাতে ফরিদপুর কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, পুলিশের ধারণা কিশোরীটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। এজন্য এ হত্যা মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নেওয়া হয়েছে।

এসআই বেলাল আরও বলেন, তবে এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে তৎপর রয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের আশে পাশের সি সি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় গোরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে তাকে শহরের আলীপুর পৌর কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে।

ফাতেমা বেগমের বাবা এলাহি শরিফ রিকশা চালানোর পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের এটিএন বুথের গার্ড হিসেবে কাজ করেন। তিন মেয়ের মধ্যে ফাতেমা বড়। ফাতেমা জন্ম থেকেই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক)। ওই কিশোরী বাবার সাথে শহরের রাজেন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।

প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ফাতেমাকে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকাল ও দুপুরে শহরের মাইকিং করা হয়।

নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে অনুমানিক একশ গজ দূরে ওই কিশোরীর লাশটি উদ্ধার করা হয়।