কুড়িগ্রামে ভুয়া মামলায় গ্রামবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:২৪

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া মামলায় গ্রামবাসীকে হয়রানি, গ্রামবাসীর স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন দপ্তরে ভুল অভিযোগ, গ্রামবাসীর এডিট করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ, সাজানো সাক্ষী বানিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রেরণ এবং সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কুটিপয়ড়াডাঙ্গার রাজাকার পুত্র হাফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে। হাফিজুর রহমান বাবুর অপকর্মের একান্ত সহযোগী আবুল হাসেম, ফারুক ও আপেল।

প্রতারণা ও হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসী নাগেশ্বরী থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। তার অপকর্মের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।

নাগেশ্বরী উপজেলার কুটিপয়ড়াডাঙ্গা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল কাগজপত্র লুট করে এবং প্রধান শিক্ষক শামসুল আলমের স্বাক্ষর জাল করে জেলা শিক্ষা অফিসার, কুড়িগ্রাম বরাবর চাকরি হতে অব্যাহতি প্রদান সম্পর্কিত একটি পত্র প্রেরণ করেন অভিযুক্ত বাবু। ফলে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন বেতন-ভাতা গ্রহণ করতে পারেননি।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম জানান, হাফিজুর রহমান বাবুর নিজ বাড়ির ট্র্যাংক হতে পুলিশের সহায়তায় ওই বিদ্যালয়ের সকল কাগজপত্রাদি উদ্ধার করা হয় এবং হাফিজুর রহমান বাবুর বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, হাফিজুর রহমান বাবু নিজেই বিদ্যালয়ের ভুয়া রেজুলেশন বই তৈরিসহ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করেন। এছাড়াও রেজুলেশনে দেখানো হয় যে, প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়েছেন। হাফিজুর রহমান বাবু তার অপকর্ম ঢাকতে ভুয়া সাক্ষী বানিয়ে ও বিভিন্নজনের স্বাক্ষর জাল করে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনকে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে ভুল অভিযোগ করছে- যাতে গ্রামে সবসময় বিশৃঙ্খলা লেগে থাকে।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, পদ থেকে পদত্যাগ করেছি বলে আমার স্বাক্ষর জালের পর রেজ্যুলেশন খাতা তৈরি করে ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের দিয়ে অনুমোদন করায়। এরপর পাঠানো ওই চিঠিতে ঘটনা সঠিক বলে জেলা শিক্ষা অফিসারের মন্তব্য জাল করে এ কপি রংপুরের উপ-পরিচালকের কাছে ফরওয়াডিং করা হয়। সেটিও জাল। পরে সেটি ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর দীর্ঘ সময় আমার বিল বন্ধ থাকে। কোনো অভিযোগ না থাকার পরও আমার বিল বন্ধ হলে একপর্যায়ে আমি ঢাকায় গিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। পরে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল স্থানে অভিযোগ দেয়া হলে আমি অনেক দিন পর বিল-বেতন পাই।

গ্রামবাসীরা জানায়, হাফিজুর রহমান বাবু দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের সহজ সরল মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। গ্রামের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত বাধার সৃষ্টি করছে। এছাড়াও তার প্রতারণার ফলে গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সুনাম নষ্ট হচ্ছে এবং গ্রামে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাফিজুরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নাগেশ্বরী থানার ওসি রওশন কবির জানান, তার বিরুদ্ধে অনেক দিন আগে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছিল।

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :