গাড়ি আমদানিতে নীতি সহায়তা চায় বারভিডা

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রিকন্ডিশন গাড়ির উপর আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকেলস ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) সভাপতি বলেন, আমরা যে গাড়ি আমদানি করি- তা পরিবেশবান্ধব।

শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে পরিবেশ বান্ধব রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি ও বিপণন খাতে সৃষ্ট সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বারভিডা।

দেশে এখন নতুনের নামে নিম্নমানের গাড়ির ডাম্পিয়ে পরিণত হয়েছে অভিযোগ করে আবদুল হক বলেন, দেশে কী গাড়ি চালানো যাবে কোনটা পরিবেশসম্মত হবে এর কোন স্টান্ডার্ড নেই। নসিমন, করিমন, ভটভটিসহ সব চলছে। জাপানে গাড়ির ক্ষেত্রে ২০২১ সালে ইউরো ৬ স্ট্যান্ডার্ড ফলো করবে। এরপর তারা যাবে ইলেট্রিক গাড়িতে। বিশ্বের এখন বিভিন্ন দেশে পরিবেশ সম্মত গাগির দিয়ে ঝুঁকছে। আমাদেরও সেই দিতে নজর দিতে হবে।

আব্দুল হক বলেন, আমরা এখন সব গাড়ি জাপান থেকে আমদানি করি। ভবিষ্যতে অন্য দেশের পরিবেশবান্ধব গাড়ি আমদানি করব।

আমদানি শুল্ক কমানো জরুরি মন্তব্য করে বারভিডা সভাপতি বলেন, দেশে শুল্ক কাঠামো এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন গাড়ির চেয়ে রিকন্ডিশন গাড়ির দাম দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্রেতারা রিকন্ডিশন গাড়ি কেনা কমিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, পুরনো গাড়ি আমদানিতে অবচয় সুবিধা বাজারমূল্যের ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাশ ধরায় ব্যবসায়ীদের বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে পুরনো গাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি অনেক কমেছে।

পুরনো গাড়ির বাজার মূল্য থেকে রপ্তানিকারক দেশের আরোপিত ১০ শতাংশ ভোগ কর ও পরিবেশকের ৩০ শতাংশ কমিশন বাদ দিয়ে শুল্কমূল্য নির্ধারণ করা এবং অবচয় সুবিধা ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার দাবি প্রস্তাব করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল হক বলেন, দেশে নতুন গাড়ি তৈরি হোক এটা আমরাও চাই। কিন্তু দেখতে হবে এখন এ্যডভান্স টেকনোলজি আসছে। আমরা যদি ৩০ বছর আগের প্রযুক্তি ব্যবহার করি তাতে আমরা পিছিয়ে পরবো। তিনি বলেন, যে গাড়িগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে এটার মান কেমন তা যাচাই করার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রযোজনে বারভিডা সরকারকে সহায়তা করবে। সেটা নতুন হোক বা পুরোনো হোক।

এক প্রশ্নের জবাবে আবদুল হক বলেন, এক সময় দেশে ৯০ শতাংশ চলতো রিকন্ডিশন গাড়ি আর ১০ শতাংশ নতুন গাড়ি। এখন সেটা সমান সমান হয়ে গেছে। ৫০ শতাংশ নতুন ৫০ শতাংশ পুরোনো।

বারভিডার সহ-সভাপতি এসএম আনোয়ার সাদাত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নতুন গাড়ি প্রস্তুতের নামে ইউরো টু মানের গাড়ি তৈরির এসেম্বিলিং হচ্ছে।

বারভিডার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি হয়, যেখানে গত অর্থবছরে তা প্রায় অর্ধেক কমে ১২ হাজার ৫০২টি হয়েছে। আর আমদানি হওয়া গাড়ি গতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বিক্রি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন মিন্টুসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/জেআর/এলএ)