পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন স্থগিত

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:০০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:১১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

১১ দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা পাটকল শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুন্নুজান সুফিয়ান জানান, আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাটকল শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তিনি কথা বলবেন।

তবে আন্দোলন কত তারিখ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এটা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এটা নিয়ে তারা সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রীর সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।

শ্রম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আখতারুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, আন্দোলন স্থগিতের ব্যাপারে শ্রমিকরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে গেছে। এক পক্ষ বলছে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে; আরেক পক্ষ বলছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে দুই পক্ষই আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে জানান তিনি। 

এর আগে সচিবালয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের মিলগুলোর সমস্যা নিরসনে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুর আগে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জুলাই মাস থেকে নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে যে আন্দোলন চলছে, সে বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী একটি দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন। এখন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করা হবে। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তাদের সাথে আলাপ করে তা জাননো হবে।’

মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত নয়টি পাটকলের শ্রমিকরা গত ২৩ নভেম্বর থেকে মিছিল-সমাবেশ ও ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছেন। পাটকলে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করার দাবি রয়েছে এই ১১ দফার মধ্যে।

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে ১২টির শ্রমিকরা গত ১০ ডিসেম্বর আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। রাজশাহীতে একটি, খুলনা অঞ্চলে নয়টি, নরসিংদীতে একটি ও চট্টগামে একটি পাটকলের শ্রমিকরা এ আমরণ অনশনে যোগ দেন। অনশন চলাকালে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫ডিসেম্বর/জেআর/জেবি)